কম্পিউটার যেমন দৈনিন্দিন কাজকে সহজ করেছে, তেমনি কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও তৈরি করেছে। দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটার ব্যবহারের পর অনেকের কাজ শেষে চোখে ব্যথা কিংবা চোখে টান-টান (eye strain) অনুভূতি হয়ে থাকে।
কম্পিউটার আমাদের জীবন মান যেমন সহজ করেছে, ঠিক তেমনি কম্পিউটার ব্যবহারে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হচ্ছে।সাধারণত দীর্ঘসময় এক টানা কম্পিউটারের স্ক্রিন এর দিকে তাকিয়ে থাকলে এমন সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া দীর্ঘ দিন এক টানা বেশি মাত্রায় কম্পিউটার ব্যবহারে চোখে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চোখের যত্নে আপনাকে কিছুটা সচেতন হওয়া উচিত।
তাহলে কি কম্পিউটার ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া উচিত? বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কিছু সর্তকতা অবলম্বন করলে এই প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে।
কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের চোখের যত্নে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে কিছু দিক নির্দেশনা।
আই লেভেলে সামঞ্জস্যতাঃ
কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সব সময় ক্রিন এর সঙ্গে আই-লেভেল উচ্চতার সামঞ্জস্যতা রাখতে হবে। বিষয়টি চোখের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। শুধু কম্পিউটার নয় টেলিভিশন ও মোবাইল দেখার ক্ষেত্রেও এ সামঞ্জস্যতা রজায় রাখা উচিত।
বিরতি নেয়াঃ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এক গবেষণায় বলেছে, অধিক সময় কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিদিষ্ট সময় পর পর বিরতি নিতে হবে। এতে চোখ ও শরীর এর জন্য উপকার ।
একটানা কাজ করার সময় ২০-৩০ মিনিট পর পর এক মিনিট চোখ বন্ধ করে রাখা কিংবা জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে চোখের ওপর তেমন চাপ পড়বে না, যা অনেক সময় কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।
এ ছাড়া কাজ করার সময় মাঝে মাঝে চোখের পলক ফেলা একটা ভালো উপায়। এতে করে চোখে আদ্রতার পরিমান স্বাভাবিক থাকবে।
তালুর পরশঃ
দু’হাতের তালু একটি অপরটির সঙ্গে ঘর্ষণ করে গরম করে তারপর তা চোখের উপর রাখুন এটি কমপক্ষে ১ মিনিট যেন হয়। এই পদ্ধতি আপনার ক্লান্ত চোখে আরামের আবেশ আনতে সহায়তা করবে।
কনট্রাস্ট বজায় রাখাঃ
কম্পিউটারে কাজ করার সময় হালকা রঙের ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর গাড় রঙের অক্ষর বাছাই করুন।চোখে শিথিল এবং আরামদায়ক অনুভূতির ক্ষেত্রে সব থেকে সেরা রং বিবেচনা করা হয় সবুজকে। তাই ব্যাকগ্রাউন্ডে সবুজ রং নির্বাচন করাই চোখের জন উত্তম।
এ ছাড়া কম্পিউটারের উজ্জলতা একটি সহনীয় মাত্রায় রেখে কাজ করা। উজ্জলতা বেশি হলে চোখের ওপর বেশি চাপ পড়ে এবং অস্বস্তিকর অনুভূতি অনুভূত হয়। সেই ক্ষেত্রে নাইট মোড ব্যবহার করা উচিত।
তীব্র আলো পরিহার করা
যথাযথ আলোর মধ্যে কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। তীব্র আলোতে যেন কম্পিউটার ব্যবহারের সমস্যা সৃষ্টি না হয় তাই সেটি এমন স্থানে রাখতে হবে যাতে এর পর্দায় ঘরের লাইট বা জানালার আলোর তীব্র প্রতিফলন না ঘটে।
আপনি যদি এই ধরনের আরো ট্রিপস পেতে চান তাহলে ভিসিট করতে পারেন হেলথ ট্রিপস ওয়েবসাইটিঃ Heath Trips