সেন্টমার্টিন দ্বীপঃ
সেন্টমার্টিন (Saint Martin) বাংলাদেশের সমুদ্র সিমার একটি দ্বীপ । এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র । সেইন্ট মারটিন দারিয়ে আসে পাসে সমদ্র ছাড়া কিছু দেক্তে পাবেন না । সেখানে অল্প কিছু গনবসতি ঘরে উঠেছে। এই দ্বীপ তে যারা গিয়েছেন তারা ইতিমধ্য উপলব্দি করতে পেরেছেন দ্বীপটির আসল সুন্দরজ্য। এই পোস্টে আমি তূলে ধরার চেষ্টা করব এই দ্বীপটির খুটি নাটি সবকিছু। কি খাবেন , কোথায় ঘুরবেন, কি কি দেখতে পাবেন, কোন কোন বিষয় গুলো করবেন না । আর কিভাবে যাবেন কখন যাবেন, থাকবেন কোথায়, ছেড়া দ্বীপ টি তে কখন যাবেন । জাহাজের টিকেট কিভাবে কাতবেন, কত টাকা খরচ হবে , খাবার এর দাম কেমন ইত্যাদি। বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ (Coral Island)‘সেইন্ট মারটিন’ এর অবস্থান বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা কক্সবাজারের টেকনাফ থানায়। টেকনাফ থেকেও প্রায় ৮-৯ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এর বুকে এই দ্বীপটি অবস্থান করছে। আয়তনে খুব বড় নয় এই দ্বীপ, ৮ বর্গ কিঃ মিঃ, আর লোক সংখ্যা আনুমানিক ৭০০০-৭৫০০ এর মতন হবে। এই দ্বীপের সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই যে ব্যাপার টি চলে আসে, সেটি হচ্ছে এখানের প্রকৃতি আর তার নির্জনতা। খুব নির্জন আর কোলাহল মুক্ত কয়েকটি দিন কাটানোর জন্য এই দ্বীপ অতুলনীয়, কারণ দ্বীপে কোন বাস, গাড়ি, মোটর চালিত কোন প্রকার যান নেই, এমন কি নিঝুম দ্বীপ বা কুয়াকাটার মত পাবলিক সার্ভিস দেয়ার মত মোটর বাইক ও চোখে পড়েনি। তাই অন্তত নির্জনতার মাঝে যখন কেও কোন মোহে হারিয়ে যাবে, হঠাত কোন গাড়ির হর্ন এর শব্দ এসে সব নষ্ট করে দেয়ার সম্ভাবনা একদম ই নেই এই দ্বীপে।সেন্টমার্টিন দ্বীপের ছবিঃ
দ্বীপ টি তে যারা হই হুল্লুড় করার উদ্দেশ্যে ভ্রমণে যাবেন, তারা কিছু টা হতাশ হতে পারেন, কারণ এমন প্রবালে বসে সূর্যাস্ত দেখার সাথে অন্তত হিন্দি গান ছেড়ে কোমর দোলানো ব্যাপারটা একেবারেই যাবে না। বরং নির্জন বসে কিংবা সমুদ্রের পাড়ে প্রবালে সঙ্গীদের সাথে বসে হেড়ে গলায় গাওয়া গানটাই সৃতির পাতায় রয়ে যাবে।সেন্টমার্টিন দ্বীপের দর্শনীয় স্থানঃ
সেইন্ট মারটিনে আলাদা করে দেখার মত কিছু আলাদা করা কঠিন, কারণ পুরো দ্বীপটি ঝুরে একটি মিস্ট্রিরিয়াস বিরাজ করবে। ছোট একটি দ্বীপ। চার পাশে সমূদ্র। মন মাতানো সূর্যাস্ত, বাতাস আর সমূদ্রের গর্জন যা প্রতি মুহূর্তেই নতুন নতুন গল্প শুনিয়ে যাবে আপনাকে। এর বাইরেও তেমন কিছু খুঁজতে চাওয়া টা-ও আপনার জন্য ভুল হবে। তারপরও ‘ছেরা দ্বীপ’ টা মূল দ্বীপ থেকে ভাটার সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যেটি পুরোপুরি প্রবাল এর। সেখানে যেতে পারেন বোটে করে যা মূল যেটি থেকে সকাল ৮ টা থেকে ছাড়ে। তবে খুব ভোরে ভাটার সময় হেটেও যাওয়া যায়, তারপর আবার দুপুরের কিছু সময় আগে আবার যখন ভাটা পড়বে, তখন হেটে ফেরত আসা যায়। আর রাতে অবশ্যই জেলেদের মাছ ধরার ট্রলার প্রস্তুত করার ব্যাপারটা দেখতে মিস করবেন না, যদিও তা মাঝ রাতেই করেন তারা। আর মূলত এমন যায়গা গুলোতে মানুষের নিজের উপর নির্ভর করে, তাই আপনি আপনার মত করে সেখানে যাবার পর নিজের প্ল্যান করে নিতে পারবেন।খাবার কি খাবেণঃ
সেইন্ট মারটিন কে নারিকেল এর জন্য বিখ্যাত বলা হয়ে থাকে, কারণ এই দ্বীপে প্রচুর পরিমাণ ডাব পাওয়া যায়, যার স্বাদ অনন্য, আর দেখতেও সাধারণ ডাবের চেয়ে দুই বা তিন গুণ বড় ও হয়, এসব ডাব এর দাম তুলনামূলক কম। তাই এই জিনিস খুব কম মানুষ মিস করতে চাইবেন না ।মাছঃ
ভিবিন্ন প্রকার সামুদ্রিক মাছ, কাকড়া, লবস্টার এই দ্বীপের প্রধান আকর্ষণ। (কোরাল, সুন্দরী, ইলিশ, রূপচাঁদা, চিংড়ি বেশি ইত্যাদি বিক্ষাত।শুটকি মাছঃ
মাছের শুটকি যারা পছন্দ করেন, তাদের জন্য এই দিপে রয়েছে অনেক ধরনের শুটকি মাছ। শুটকি মাছ পছন্দ কারীদের জন্য পছন্দের দ্বীপ হয়ে যেতে পারে, কারণ এখানে অনেক প্রকারের একদম ফ্রেশ শুটকি পাবেন আপনই।আচারঃ
পাশেই যেহেতু মায়ানমার, সেহেতু সেই খানে তৈরি অনেক প্রকার আচার যা ইতিপূর্বেই মানুষের মন জয় করে নিয়েছে, তা মোটামুটি সহজলভ্য সেইন্ট মারটিনে। যা যা করবেন নাঃ – প্রথমেই যেই কাজ টি করবেন না, সেটি হচ্ছে সেইন্ট মারটিন থেকে আসার সময় সৃতি হিসেবে অইখানের প্রবাল, শামুক বা অন্য প্রাকৃতিক কোন জিনিস নিয়ে আসবেন না। – অযথা চিৎকার চেঁচামেচি করা থেকে বিরত থাকবেন, কারণ মনে রাখবেন সেইন্ট মারটিন আমাদের জন্য ভ্রমণের যায়গা হলেও সেখানে প্রায় ৭০০০-৭৫০০ মানুষের বসত। তাই লোকাল মানুষদের যেন কোন কারণেই আমাদের প্রতি কোন খারাপ ধারণার উদ্রেগ না হতে পারে, বা তারা যেন বিরক্ত না হন,সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। – সাঁতার না জানলে গোসলের সময় খুব বেশি দূরে কোনভাবেই যাওয়া যাবে না, আর অবশ্যই সমূদ্রে নামার আগে জোয়ার- ভাটার ব্যাপারে জেনে নামবেন। – ১১ টি ডেঞ্জার জোন আছে সেইন্ট মারটিন এ, নামার আগে সেই জোন গুলো নিশ্চিত হয়ে নিবেন। – প্রবাল অনেক ধারালো হয়, তাই পানিতে নামার সময় অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন।সেন্টমার্টিন দ্বীপ যাওয়ার উপায়ঃ
কেও যদি ঢাকা থেকে সরাসরি সেইন্ট মারটিন যান, তাহলে শ্যামলী পরিবহন, হানিফ, ইউনিক পরিবহন এবং সেইন্ট মারটিন পরিবহণ সহ বেশ কিছু বাস সরাসরি টেকনাফ ঘাট পর্যন্ত যায়। তারপর ঘাট থেকে কয়েকটি শিপ ছাড়ে সেইন্ট মারটিনের উদ্দেশ্যে সকাল ৯ঃ৩০ মিনিটে। যা দ্বীপে পৌছায় ১১ঃ৩০-১২ টার মধ্যে। যা আবার ব্যাক করে বিকেল ৩ টার দিকে সেইন্ট মারটিন থেকে। তবে শিপ অফ সিজনে (এপ্রিল এর মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) শিপ চলে না, তবে ট্রলার ছাড়ে সেইন্ট মারটিনের উদ্দেশ্যে সারা বছর ই। তবে শিপ রিজার্ভ করা হলে আলোচনা সাপেক্ষে বছরের যে কোন সময় ই চলতে পারে।আর কেউ যদি কক্সবাজার থেকে যান, তাহলে সকালে টেকনাফের উদ্দেশ্যে বাস, মাইক্রো, চান্দের গাড়ি ছাড়ে। অনেক প্যাকেজ অফার ও থাকে । যেই হোটেলে থাকবেন কক্সবাজারে, তাদের কাছে বললেও তারা ব্যবস্থা করে দিবে। তবে তাদের কাছে শুধু ট্রান্সপোর্ট এর সুবিধা ও আলাদা করে নেয়া যায়। যেমন শিপ এর টিকেট আর সকালে টেকনাফ যাবার সহায়তা টুকু নেয়া কেবল।
সেন্টমার্টিন জাহাজ টিকেট বুকিংঃ
সবচেয়ে ভালো হয় নিজের মত বুকিং করা। বাসের টিকেট ফকিরা পুল সহ প্রায় সব কাওন্টার থেকেই পাওয়া যায়। শিপ এর জন্য ঢাকায় অনেক গুলো ট্রাভেল এজেন্ট নির্ধারণ করা আছে শিপ গুলোর, তাদের কাছ থেকে কাটতে পারেন, অথবা অন্য লোকাল ট্রাভেল এজেন্ট রা ও টিকেটের ব্যবস্থা করে দেয়, যা আপনার আশে পাশেই খোঁজ করলে পেয়ে যাবেন।
আর হোটেল বা রিসোর্ট সেইন্ট মারটিনে যেয়ে দামাদামি করে নেয়া ই ভালো, তবে প্রথম বার হলে আগে থেকে পরিচিত কারো রেফারেন্স নিয়ে বা বুক করে যেতে পারলে ভালো হতে পারে।
আর গুগল এ সার্চ করলেই সেইন্ট মারটিনের অনেক রিসোর্ট বা কোম্পানি বা শিপ এর লিঙ্ক পেয়ে যাবেন।
সেইন্ট মারটিনের রিসোর্ট বা ট্রাভেল রিলেটেড কোম্পানি/ গ্রুপের লিঙ্কঃ
সেইন্ট মারটিন নিয়ে স্পেশালি যারা কাজ করছেন, তাদের নাম, নিঙ্ক, কন্টাক্ট এখানে আস্তে আস্তে যোগ হতে থাকবে, তবে তার আগে অবশ্যই তাদের সার্ভিস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। (এই ব্যাপার টি গ্রুপের এডমিন বা বিজ্ঞ দের হাতে ছেড়ে দিলাম)
যাওয়ার প্ল্যানঃ
সেইন্ট মারটিন যারা যাবেন, অন্তত দুই রাত থাকার মত চিন্তা করে যেতে পারলে ভাল একটি ভ্রমণ হতে পারে আপনাদের। তবে সময়, অর্থ আর ইচ্ছার উপর ভিত্তি করে সেটা এক দিন থেকে অনেক দিন পর্যন্ত হতে পারে এই ভ্রমণের সময় কাল। রাত ৭ঃ৩০-১১ টা পর্যন্ত সুবিধা অনুযায়ী বাসে উঠলে পরের দিন সকালে নামিয়ে দিবে টেকনাফ ঘাট এ। সেখান থেকে শিপ এ করে দ্বীপে পৌছাতে ১১ঃ৩০-১২ টা বাজবে। তারপর হোটেল এ গিয়ে কাপড় চোপড় ছেড়ে সমুদ্রে নেমে পড়তে পারেন, গোসল সেরে এসে দুপুরের খাবার। বাকি দিন টা নিজের ইচ্ছা মত কাটাবেন, যেভাবে আপনার ভালো লাগতে পারে। কারণ ততক্ষণে পুরো দ্বীপ টি ই আপনার হয়ে গেছে।
দ্বিতীয় দিন সকাল টা তে সূর্য উদয় দেখতে পারেন। তারপর ছেরা দ্বীপ এর উদ্দেশ্যে বের হয়ে যেতে পারেন। ফিরে আসতে দুপুর হবে ছেরা দ্বীপ থেকে। তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে ফিরতি শিপ এর জন্যে বের হয়ে যেতে হবে, যদি এক রাত থাকেন ।
আর একাধিক রাত থাকলে আপনি পুরো দ্বীপ টা নিজের মত করে রিলাক্সে ঘুরে দেখতে পারবেন, চাইলে এক টি রাত মাছের বার বি কিউ ও করতে পারবেন। পারবেন রাতের বেলায় মাছ ধরতে যেতে। নিজের মনের মত করে,যা ইচ্ছে।।
কোথায় থাকবেনঃ
সেইন্ট মারটিনে অনেক গুলো হোটেল বা রিসোর্ট আছে, যেখানে আপনি আপনার বাজেটের উপর নির্ভর করে বাছাই করে নিতে পারবেন।তবে বিচের পাড়ে অবস্থিত কোন রিসোর্ট এ থাকা টা আমরা প্রেফার করি।
খরচঃ
যাতায়াত খরচ
বাসের টিকেট – যাওয়া ও আসা সহ ২২০০ টাকা (নন এসি), ২,৮০০-৪,৪০০ টাকা (এসি)।
শিপ/জাহাজ ভাড়া – যাওয়া ও আসা সহ ৮৫০ টাকা (ওপেন ডেক), ১১০০-১৬০০ টাকা (এসি)।
ছেড়া দ্বীপ – ট্রলারে যাওয়া আসা ২০০ টাকা।
লোকাল যাতায়াত – সেন্টমার্টিনর বাজারে কিংবা আশেপাশে যাওয়ার ভ্যান ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা।
অন্যান্য খরচ – ২০০টাকা।
* খাবার খরচ
যাত্রার দিন – যাত্রা বিরতিতে রাতের খাবার ১০০-২০০ টাকা।
১ম দিন – নাস্তা ৬০-১০০ টাকা, দুপুরের খাবার ১২০-২২০ টাকা ও রাতের খাবার/বার বি কিউ ২০০-৩০০ টাকা।
২য় দিন – নাস্তা ৬০-১০০ টাকা, দুপুরের খাবার ১২০-২২০ টাকা।
ফিরে আসার দিন – যাত্রা বিরতিতে রাতের খাবার ১০০-২০০ টাকা।
চাইলে আরও কম খরচে খাওয়া দাওয়া করা সম্ভব। বাজারের ভিতরের দিকে হোটেল গুলোতে গিয়ে সাধারণ খাবার খেলে খরচ অনেক কমে যাবে।
* থাকার খরচ
স্ট্যান্ডার্ড হোটেল/রিসোর্ট কাপল রুম বা ডাবল বেড ১৫০০-৩০০০ টাকা। বাজারের দিকে মোটামুটি মানের হোটেল ৮০০-১২০০ টাকা। খুবই পিক সিজন আর সরকারি ছুটির দিনে ভাড়া আরও একটু বেড়ে যাবে। এক রুমে কয়েকজন মিলে থাকলে খরচ ভাগ হয়ে কমে যাবে। পিক সিজন ও ছুটির দিন ছাড়া গেলে খরচ আরও কম হবে। এছাড়া আরও কম খরচে থাকতে চাইলে স্থানীয় মানুষদের বাড়িতে অল্প টাকায় থাকতে পারবেন, এ জন্যে একটু খুঁজে ও কথা বলে দেখতে হবে।
ভ্রমণ টিপস ও সতর্কতা
- সেন্টমার্টিন আমাদের দেশের সম্পদ, তাই প্রকৃতির ক্ষতি হয়ে এমন কিছু করবেন না।
- সেন্টমার্টিনে মোবাইল ফ্রিকোয়েন্সি কম থাকে। কথা বলতে সমস্যা হতে পারে। তবে টেলিটক তুলনামূলক ভাল কাজ করে।
- বর্তমানে নিয়মিতভাবে সেন্টমার্টিনে বিজিবি টহল দেয়৷ তারা অনেক সময় রাত ১২টার পর পর্যটকদেরকে বীচ বা জেটি এলাকায় থাকতে নিষেধ করে।
- সঠিক জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলবেন। দয়া করে প্লাস্টিক/পলিথিন কিছু সৈকতে ফেলে আসবেন না।
- কম খরচে সেন্টমার্টিন থাকা ও খাওয়ার জন্যে ছুটির দিন গুলোতে না গিয়ে অন্যান্য দিনে যেতে পারেন।
- বর্তমানে সেন্টমার্টিনে অনেক হোটেল ও কটেজ গড়ে উঠেছে, থাকার জায়গায়র অভাব তেমন হয় না।
- পর্যটন এলাকায় যে কোন কিছুর জন্যে দরদাম করবেন কেনাকাটায়।
- মানুষ বেশি হলে আগেই শিপের টিকেট কেটে রাখতে পারেন।
- দালালদের খপ্পরে পড়বেন না। নিজেই সবকিছু করুন।
- চাইলে কক্সবাজার বিভিন্ন এজেন্ট থেকে সেন্টমার্টিন এর প্যাকেজ কিনে নিতে পারবেন।
- সেন্টমর্টিন যাওয়া আসার সময় জাহাজের ডেক থেকেই সবচেয়ে সুন্দর ভিউ দেখতে পাবেন।
- সমুদ্রে নামার সময় সতর্ক থাকুন।
শেষ কথাঃ
যদিও বর্তমান ট্রাভেলার রা অনেক সচেতন, তারপরও আমরা অনেক যায়গায় ভ্রমণ করতে গেলে প্রকৃতির অনেক ক্ষতি করি বিভিন্ন ভাবে। তাই আমার একটাই অনুরোধ আমরা প্রকৃতি যেমন আছে, তেমন টাই যেন রেখে আসি। যদি পারি ভালো কিছু করতে ,তাহলে স্বাদুবাদ থাকলো, তবে অন্তত কোন প্রকার ক্ষতি যেন না হয় আমাদের দিয়ে।
আরো জানুনঃ