পিন্টারেস্ট !!! মার্কেটিং এ সফল হওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস !!!
 

পিন্টারেস্ট মার্কেটিং(Pinterest Marketing) কি ?

  পিন্টারেস্ট একটি ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, যা একটি ফটো শেয়ারিং ওয়েবসাইট হিসেবে কাজ করে। ২০১০ সালের মার্চ মাসে পল শিয়ারা, ইভান শার্প ও বেন সিলবারমান প্রতিষ্ঠা করেন। সোশ্যাল নেটওয়ার্ক গুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে ফেসবুক আর দ্বিতীয় স্থানটি দখল করার জন্য মারাত্মক প্রতিযোগিতা চলছে পিন্টারেস্ট, গুগল প্লাস ও টুইটার এর মধ্যে। এর ব্যবহারকারী সাত কোটিরও বেশি, যাদের মধ্যে বেশিরভাগ ব্লগার, কোম্পানী, ব্র্যান্ড এবং ব্যবসাসমূহ নিয়ে আছেন। পিন্টারেস্ট বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক বড় একটা প্রভাব নিয়ে আছে। ফটো শেয়ারিং সাইট হলেও বিজনেস এর দিক দিয়ে পিন্টারেস্ট এর মতো সুবিধাজনক জায়গা অন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পাওয়া কষ্টকর। আর এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পিন্টারেস্ট ঠিক তাদের কাছেই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় যাদের শপিং এ কোন জুড়ি নেই। সুতরাং পিন্টারেস্ট এর মাধ্যমে আপনি আপনার পন্যের প্রচার করে ব্যবসার উন্নতি করতে পারেন খুব সহজেই।   পিন্টারেস্ট থেকে ভিজিটর আনতে হলে যা যা করতে হবেতার বর্ণনা ধারাবাহিকভাবেঃ
  • পিন্টারেস্ট এ একাউন্ট আছে তো? যদি না থাকে তবে এক্ষুনি আপনার বা আপনার ব্র্যান্ডের নামানুসারে একাউন্ট খুলে ফেলুন।
  • আপনার প্রোফাইলে নিজের অথবা ব্র্যান্ডের সম্পর্কে সুন্দর একটি বর্ণনা দিন। দুই থেকে তিন লাইন বর্ণনাই এক্ষেত্রে উত্তম। আর খেয়াল রাখবেন প্রোফাইল পিকচারটি যেন আপনাকে বা আপনার ব্র্যান্ডকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়। প্রোফাইলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট লিংকড করে দিবেন। কিভাবে ওয়েবসাইটের সাথে লিংকড করবেন দেখুনঃ-
প্রথম স্টেপঃ লগ ইন করুন। দ্বিতীয় স্টেপঃ “Settings”  অপশনে ক্লিক করুন। তৃতীয় স্টেপঃ Accounts Basics এ স্কল ডাউন করে “Website” এর ঘরে আপনার ওয়েবসাইট এর লিংক টি বসিয়ে দিয়ে সেইভ করুন। চতুর্থ স্টেপঃ ওয়েবসাইট এর লিংক টি ভেরিফাই করে নিন। ভেরিফাইড হলে প্রোফাইলে শো কৃত লিংক এর পাশে টিক মার্ক আসবে। আর এতে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর দ্বিগুণ বেড়ে যাবে, কারণ টিক মার্ক মানেই প্রতিটি ভিজিটরদের বিশ্বস্ততা তৈরী হওয়া যা ব্যবসার একটি মূলধন হিসেবে ধরা হয়। ভেরিফাইড হলে পিন্টারেস্ট এর free analytics tool টি আনলক করে দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে জানতে পারবেন প্রতিদিন কি পরিমান ভিজিটর সাইট ভিজিট করছে বা কিভাবে ভিজিটর বাড়াতে পারবেন। পঞ্চম স্টেপঃ  ওয়েবসাইটে পিন্টারেস্ট এর ফলো বাটন অবশ্যই এড করুন। ফলো বাটনটি ভিজিটরকে পিন্টারেস্ট এ ড্রাইভ করে, যেখানে থাকবে আপনার প্রোডাক্ট এর আকর্ষনীয় সব ছবি ও বর্ণনা। এর ফলে খুব সহজেই আপনার টার্গেটেড ক্লায়েন্টকে আপনার কাছে নিয়ে আসতে পারছেন, যা কিনা অনেক লিংক বিল্ডিং করেও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আপনার পিন্টারেস্ট একাউন্টটি অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক যেমন: ফেসবুক, টুইটার, লিংকড-ইন এর সাথে লিংকড করে দিন। এরফলে আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ডস ও টুইটার ফলোয়াররা আপনার পিন্টারেস্টের সাথে কানেক্টেড থাকতে পারবে। যখনই কিছু পিন করবেন, তার নোটিফিকেশন চলে যাবে ফেসবুক ও টুইটারে ফলোয়ারদের কাছে।  
  • আপনার পিন্টারেস্ট একাউন্টটি অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক যেমন: ফেসবুক, টুইটার, লিংকড-ইন এর সাথে লিংকড করে দিন। এরফলে আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ডস ও টুইটার ফলোয়াররা আপনার পিন্টারেস্টের সাথে কানেক্টেড থাকতে পারবে। যখনই কিছু পিন করবেন, তার নোটিফিকেশন চলে যাবে ফেসবুক ও টুইটারে ফলোয়ারদের কাছে। আপনার যেসব ফ্রেন্ড পিন্টারেস্টে আছে তাদেরকে খুঁেজ বের করে ফলো করুন, তারাও আপনাকে ফলো করবে। এভাবেই আপনার ভিজিটর অনেক বেড়ে যাবে।
 
  • আপনার ওয়েবসাইট বা পন্যের প্রচারের জন্য পিনেবল (Pinable) টেক্সট ইমেজ ক্রিয়েট করুন। কারণ পিন্টারেস্ট মূলত ইমেজ-বেইজড সাইট। এখানে ইমেজের মাধ্যমেই সবাই তাদের পন্যের প্রচার করে থাকে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, যত আকর্ষনীয়ভাবে ইমেজের মাধ্যমে পণ্যের প্রমোট করতে পারবেন, ততই আপনার ব্যবসার সফলতা বয়ে আনবে।
  • আপনার মূল কন্টেন্ট গুলো ইমেজ আকারে পিন করুন কন্টেন্টের মূল কথাগুলো বা আপনি কী নিয়ে গ্রাহকদের কাছে এসেছেন তা টেক্সট করে ইমেজ তৈরি করুন এবং পিন করে রাখুন। পিন এর ডেসক্রিপশনে অবশ্যই সাইট লিংক দিবেন। ভিজিটরা এসে আগে আপনার পিন এ ক্লিক করবে, সে কারণেই পিনের মধ্যেই আপনার ওয়েবসাইট এর লিংক দিয়ে দিবেন ভিজিটরদের আকৃষ্ট করার জন্য। তারা পিন এর মধ্যে চোখ বুলিয়ে দেখতে পাবে আপনার পণ্যের বর্ণনা, ছবি ও ওয়েবসাইট এর লিংক।
  কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপসঃ
  • ক্যাটাগরী অনুযায়ী বোর্ড ক্রিয়েট করুনঃ
  • আপনার ইমেজগুলো অবশ্যই বোর্ড এর ভেতরে রাখবেন আর বোর্ড সাজাবেন ক্যাটাগরী অনুযায়ী এর ফলে আপনার পিনগুলো ফলোয়ারদের ফিডস এ শো করবে, শুধু তাই নয়, কানেক্টেড সেইম ক্যাটাগরীর বোর্ডগুলোর মধ্যেও শো করবে।
    • জনপ্রিয় বোর্ড গুলোতে Contribute করুনঃ
    পপুলার বোর্ড গুলো হচ্ছে ট্রাফিক জোগাড় করার অন্যতম উপায়। কারণ এই বোর্ডের প্রচুর ফলোয়ার থাকে। তাই কিছুটা সময় ব্যয় করে খুঁজে বের করুন সেই বোর্ড বা বোর্ডের অনারদের। তাদেরকে অনুরোধ করুন তাদের বোর্ডে আপনার পিন Contribute করার জন্য। যুক্ত হতে পারলে তাদের বোর্ডে আপনার কন্টেন্ট ও অন্যান্য তথ্য সমৃদ্ধ ইমেজ শেয়ার করুন। এতে ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর যাবে। আরেকটি সুবিধা হলো, যারা আপনার ফলোয়ার না, তাদের ফিডস এও আপনার বোর্ড গুলো দেখা যাবে, যখন তারা ক্যাটাগরী অনুযায়ী সার্চ দিবে।  
    • ব্লগ বোর্ড তৈরী করুনঃ
      • আপনার ব্লগের আর্টিকেল গুলোর জন্য বোর্ড তৈরি করুন, যাতে করে আপনার ফলোয়াররা সহজেই আপনার ব্লগের সন্ধান পায়। ব্লগের Title আর পিন্টারেস্ট এর একই Title দিন। যখন একটি ব্লগ পোষ্ট লিখবেন, তা অবশ্যই ব্লগ বোর্ডে পিন করে দিবেন। সাথে আর্টিকেলে সারমর্ম বা কোটেশন, একটি ইমেজ যা আপনার পোস্টকে রিপ্রেজেন্ট করবে আর ব্লগ আর্টিকেলের লিংক।
        • নিয়মিত পিন করুনঃ
        অন্যান্য সোশ্যাল সাইটগুলোর মত পিন্টারেস্টেও আপনাকে নিয়মিত সময় দিতে হবে। আপনি যত আপনার বোর্ডের ফলোয়ারদের সাথে কান্ডেক্টেড থাকতে পারবেন, তারা ততই আপনার সাথে যুক্ত থাকবে। এজন্য উন্নতমানের কন্টেন্ট পিন করুন, ফলোয়ারদের ফিডসে আপনার পিন শো করানোর জন্য রেগুলার পিন করুন, তবে অবশ্যই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন। যারা আপনাকে ফলো করবে, অবশ্যই আপনিও তাদেরকে ফলো করবেন। উন্নতমানের পিন সম্পর্কে ধারণা পেতে ফলোয়ার বা অন্যদের বোর্ডগুলো নিয়মিত চেক করুন।  
        • আপনার ব্লগে “Pin it” বাটন যুক্ত করুনঃ
        আপনার ব্লগের ইমেজে বা আর্টিকেলে অবশ্যই “Pin it” বাটনটি যুক্ত করবেন, তাহলে ভিজিটররা তাদের পছন্দনীয় পোস্টগুলো পিন করে নিতে পারবে।  
        • পিন্টারেস্ট এর বাহির থেকেও পিন করুনঃ
        একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পিন্টারেস্টের টাস্কবার বাটনটি এ্যাড করে নিন। নির্দিষ্ট পিনটি পিন্টারেস্টে খুঁজে না পেলেও অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকেও পিন করতে পারবেন।  
        • গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে তুলুন ও আপনার প্রতি আগ্রহ জাগিয়ে তুলুনঃ
        গ্রাহকদের মনোযোগ আকর্ষনের জন্য তথ্যভিত্তিক কন্টেন্ট বা লেখা তৈরি করুন এবং কন্টেন্টকে ইনফোগ্রাফিক্স বা চার্ট/গ্রাফের মাধ্যমে উপস্থাপন করুন। এগুলো যেন দেখতেও দৃষ্টিনন্দন হয় সেদিকে লক্ষ রাখুন। আপনার প্রতি পিন্টারেস্ট ব্যবহারকারীদের আগ্রহ তখনই তৈরি হবে যখন আপনি নিয়মিত খুব ভালো মানের ইনফোগ্রাফিক কন্টেন্ট শেয়ার করবেন।  
        • অন্যদের তুলনায় আলাদাভাবে নিজেকে প্রকাশ করুনঃ
        মনে রাখবেন পিন্টারেস্ট ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগই কিন্তু যথেষ্ট সৃজনশীল। তাই তাদের সাথে প্রতিযোগিতায় নামতে হলে আপনাকেও সৃজনশীল ও অন্যদের থেকে একদম আলাদা হতে হবে। আপনার অনলাইন ব্যবসার গ্রাহক তৈরি ও বৃদ্ধি করার মূল শর্ত হচ্ছে পিন্টারেস্ট এ একটি আকর্ষনীয় শো-কেস তৈরি করতে হবে। এছাড়া থাকতে হবে নিজস্ব স্টাইল বা কৌশল যা আকৃষ্ট করবে গ্রাহকদের।   পিন্টারেস্ট মার্কেটিং টিপসঃ পিন্টারেস্ট মার্কেটিং টিপস যা বাফার পিন্টারেস্ট মার্কেটিং টিম দ্বারা পরীক্ষিত এবং আপনি এখান থেকে জানতে পারবেন কোন পদ্ধতিটি বেশি কার্যকরী। পিন্টারেস্ট এ ভালো করার জন্য যে আটটি টিপস আপনাকে ফলো করতেই হবে তা হলোঃ ১)       বেশি বেশি করে পিন করুনঃ এনগেজমেন্ট বাড়ানোর জন্য অন্যতম কার্যকর পদ্ধতি হলো বেশি বেশি পিন করা। দিনে একবার বা দুইবার পিন করার চেয়ে প্রতিদিন দশবার পিন করুন, এতে আপনার ফ্যান এনগেজমেন্ট প্রায় দেড়গুন বেড়ে যাবে যা পিন্টারেস্ট মার্কেটিং টিম থেকেই পরীক্ষামূলক ভাবে প্রমানিত। এমনকি টিমের একজন মেম্বার পিনিং রিসার্চ রেজাল্ট থেকে বলেছেন, পাঁচ থেকে ত্রিশবার পর্যন্ত পিন করা উত্তম।   ২)       পিন শিডিউল তৈরী করুনঃ পিন করার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত যেমন: সময়ের আগে পূর্ব পরিকল্পনা করে কোন কাজ করলে সেটা আমাদের কাজকে বহুগুণে সহজ করে দেয়। আমরা সবসময় শ্রেণীবদ্ধ ভাবে বিভিন্ন ভালো ভালো কন্টেন্টগুলো পিন্টারেস্টে শেয়ার করতে পারি এবং এটাকে একটি শিডিউল এর মধ্যে আনতে পারলে কিছু দিনের মধ্যেই একটা ভালো ফলাফল আশা করা যায়। আপনি যে পিনগুলো করছেন সেগুলো সাজিয়ে রাখা কিন্তু আপনার অডিয়েন্স এর জন্য খুবই গরুত্বপূর্ণ। এজন্য একই ধরণের কন্টেন্ট এর ক্ষেত্রে সারিবদ্ধভাবে এবং সময়ের সাথে ঠিক রেখে পিন করতে হবে এতে কন্টেন্ট বার্স্ট এড়ানো যাবে।   ৩)      ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য রিচ পিন এপ্লাই করুনঃ রিচ পিন হলো পিন্টারেস্ট এর একটি ফ্রি ফিচার যা আপনার পিনগুলোতে অধিক বিবরণ এবং তথ্যবহুল করতে সাহায্য করে। পিন্টারেস্ট এ পাঁচ প্রকারে রিচ পিন করতে পারেনঃ
        • আর্টিকেল পিন-এ আছে হেডলাইন, অথোর, ডেসক্রিপশন এবং লিংক দেওয়ার সুবিধা।
        • প্রোডাক্ট পিন-এ আছে রিয়েল টাইম প্রাইজিং, পণ্যের সহজলভ্যতা এবং প্রাপ্তিস্থান।
        • রেসিপি পিন-এ আছে উপাদান এর তালিকা, রান্নার সময় এবং পরিবেশনের তথ্য।
        • মুভি পিন-এ আছে রেটিং, অভিনয় শিল্পীদের তালিকা এবং রিভিউ।
        • প্লেস বা স্থান পিন-এ আছে ঠিকানা, ফোন নাম্বার এবং ম্যাপ।
          রিচ পিন শুধুমাত্র ভেরিফাইড সাইটের জন্য। এটা করতে গেলে আপনি কখনই অটোম্যাটিক্যালি করতে পারবেন না, এর জন্য সাইটে সবখানে সঠিক কোড বসিয়ে তারপর রিচ পিনের জন্য এপ্লাই করতে হবে।   কিভাবে রিচ পিন অ্যাড করবেন দেখুনঃ ওয়েবসাইটে পিন্টারেস্ট কোড অ্যাড করুন। ওয়ার্ডপ্রেস সাইট হলে yoast দিয়ে করতে পারেন। yoast এর নির্দিষ্ট স্থানে শুধু কোড বসিয়ে দিলেই হবে। রিচ পিনের জন্য রিকুয়েস্ট করুন, ভেরিফিকেশন টুলেই আপনি ক্লিক টু এপ্লাই এর অপশন পাবেন। ভেরিফাইড সম্পূর্ণ হলে আপনি ইমেইল এ একটি নেটিফিকেশন পাবেন (এটা প্রায় এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে)। এই স্টেপগুলো পার হলে পূর্বে ও নতুন সব পিনগুলোতে রিচ পিন এর ইনফরমেশন অ্যাড হয়ে যাবে।   ৪)       ইমেজ তৈরী করুন সঠিক সাইজেরঃ
      পিন্টারেস্ট বিজনেস ব্লগ থেকে একটি সুপার আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আর তা হলো ভার্টিকাল বা লম্বাকৃতির ইমেজ পিন এর জন্য সবচেয়ে ভাল। পিন্টারেস্টে ইমেজ পিন করার জন্য সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য অনুপাত হলো 2:3 অথবা 1:3:5 তবে ইমেজটা যেন সর্বনি¤œ 600 পিক্সেল প্রস্থ হয়। কারণ পিনগুলো সবথেকে ভালো দেখায় যখন তা লম্বালম্বি ভাবে সাজানো থাকে। যদি ইমেজের অনুপাত 1:3:5 এর চেয়ে বেশি হয় তাহলে কিন্তু পিন কাটা পড়ে যাবে। তাই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে 600 পিক্সেল প্রস্থের ইমেজটি যেন অবশ্যই 900  পিক্সেল ও 2100 পিক্সেল এর বেশি লম্বা না হয়।   ভাবছেন কিভাবে ইমেজ তৈরী করবেন? এটা খুবই সিম্পল বিষয়। নির্দিষ্ট সাইজে বা আনুপাতিক হারে ইমেজ রিসাইজ করার জন্য ফটোশপ অথবা Gimp ইউজ করতে পারেন। যদি আপনি অনলাইন টুল পছন্দ করেন তাহলে Canva তে এডিট করতে পারেন। পিন্টারেস্টে যদি ইমেজ অপ্টিমাইজড পিন করেন তাহলে, কিছু না হোক আপনার পিন রিপিন এর সংখ্যা সাধারণ ইমেজ এর থেকে কয়েকগুণ বাড়বে। বিশ্বাস না হলে ট্রাই করে দেখুন।   ৫)       কিওয়ার্ড সংশ্লিষ্ট ভালো ডেসক্রিপশনঃ পাঠকদের কার্যকলাপকে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করুন, যেমন শেয়ার বা লিংক অ্যাড এর জায়গা থাকলে সেগুলোতে উৎসাহিত করুন। আরো কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখুন যেমন:
      • লেখার ভিতর সঠিকভাবে ক্যাপিটালাইজেশন এবং যতিচিহ্ন এর ব্যবহার আবশ্যক। এতে ব্যাকারণ ঠিক থাকে সেই সাথে পড়তে ভালো হয়।
      • কোন হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার না করা।
      • কোন প্রমোশনাল অফার না দেওয়া (যেমন: ৫টা কিনলে ৩০% ছাড়)
      • “Buy now” বা “Shop now” টাইপের কল টু অ্যাকশনসহ পিন না দেওয়া।
      • পিন্টারেস্ট এর কার্যকারিতার জন্য কোন ধরণের উল্লেখ বা অনুরোধ না করা (যেমন: click here to pin)।
        ৬)      লিংক ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণঃ ভিজিটরদেরকে “click for more information” অপশন টা দিয়ে পিন্টারেস্ট চরম একটা কাজ করেছে। এটি ক্লিকএবল পিন, আর যদি রিচ পিন হয় তাহলে তো ইনফরমেশন এবং লিংক খুব সহজেই বসানো যায়। লিংক সহ পিন করলে সেটার ভ্যালু সবসময় একটু বেশী পাবেন। আর লিংক সহ পিনগুলো টপ পিন হবার সম্ভাবনা ৯০%।   ৭)       একই পিনে একাধিক ইমেজ ব্যবহার করাঃ পিন্টারেস্টের কিছু টপ লেভেল এবং জনপ্রিয় পোস্ট এ অনেকগুলো ইমেজ একসাথে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরকম একাধিক ইমেজ ব্যবহারের জন্য কিন্তু “ডু ইট ইউরসেলফ” পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। নিজেই যদি একটু ভেবে চিন্তে কয়েকটি রিলেটেড ইমেজ সাজিয়ে সুন্দর করে একটা পিন দিয়ে দেন, দেখবেন সিঙ্গেল ইমেজের পিন এর চাইতে এই পিনগুলো মাঝে মাঝে অনেক বেশি পপুলার হয়।   আজ এতটুকুই, পিন্টারেস্ট এর উপর থাকছে আপনাদের জন্য এক্সক্লুসিভ টিপস। আমাকে পিন্টারেস্টে ফলো করে রাখতে পারেন……  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *