স্মার্ট কার্ড ডউনলোড করবেন কিভাবে
একজন নাগরিকের জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এটি এন আইডি কার্ড (NID card) নামে আমাদের কাছে পরিচিত। অনেক ক্ষেত্রে এই কার্ড এর তথ্য ভুল থাকে আবার অনেক সময় হারিয়ে ফেললে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। তাই এই বিড়ম্বনা এড়াতে
ভোটার আইডি কার্ড চেক (
NID card check), ডাউনলোড ও ভুল সংশোধন করার নিয়ম গুলো চলুন যেনে নেয়া যাক। এই পোস্ট টি পরে
আইডি কার্ড বের করার নিয়ম ও
অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
এখন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোডের পদ্ধতিটি পরিবর্তিত হয়েছে। স্মার্ট কার্ড ডাউনলোডের নিয়ম ২০২১ অনুযায়ী আপনি অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
নতুন ভোটার ও পুরাতনদের জন্য NID card ডাউনলোডের সিস্টেমটি আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। আমরা বর্তমানে শুধু নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে অর্থাৎ যারা এখনো আইডি কার্ড পাননি তাদের জন্য আমার এই পোস্ট ।
জাতীয় পরিচয় পত্র
বর্তমানে স্মার্ট কার্ড হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্র পাওয়া যায়। তাই স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার করার নিয়মটা আজকে জানিয়ে দিব। যারা নতুন ভোটার হয়েছেন তারা খুব সহজেই স্মার্ট কার্ড নিতে পারবেন।
এই আইডি কার্ডটি আপনি আপনার আইডি কার্ডের মতোই ব্যবহার করতে আরবেন। সেজন্য এটিকে প্রিন্ট করে লেমেনেটিং করে নিতে হবে। স্মার্ট আইডি কার্ড হচ্ছে জাতীয় পরিচয় পত্রের নতুন সংস্করণ।
এই নিয়মেই স্মার্ট কার্ড বা আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন। আর খুব সহজেই জাতীয় পরিচয় পত্র আসল নাকি নকল তা বুঝতে পারবেন।
এখন আসুন, জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান ও ডাউনলোড করার নিয়মটি জেনে নেয়া যাক।
নির্বাচন কমিশন তাদের সিস্টেমে কিছুটা নিয়ম পরিবর্তন করেছে। তাই এখন আগের নিয়মে সবাই জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন না। নতুন ও পুরাতনদের জন্য আলাদা আলাদা নিয়ম করা হয়েছে।
নতুন ভোটার এর ক্ষেত্রে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড
যারা এখনো এন আইডি কার্ড হাতে পাননি এই নিয়মটি শুধুমাত্র তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এনআইডি কার্ড না পেয়ে থাকলে খুব সহজেই মাত্র ২ মিনিটে আপনি এনআইডি কার্ডের নতুন সংস্করণ
স্মার্ট কার্ড এর নাম্বার সম্বলিত একটি কার্ড পেতে পারেন। সেই খেত্রে আপনি এন আইডির জন্য আবেদন দারী হতে হবে।
নতুনদের জন্য
ভোটার আইডি কার্ড চেক ও ডাউনলোড করার নিয়মকানুনের পুরা ভিডিও
ভিডিও-
সর্বপ্রথম আপনাকে
এই লিংকে ক্লিক করতে হবে। এরপর নিচের মতো একটি পেজ পাবেন। সেখানে ভোটার নিবন্ধন ফরমের স্লিপ নম্বর ও জন্ম তারিখ দিন এবং ক্যাপচা কোড পুরন করে
ভোটার তথ্য দেখুন লেখাটিতে ক্লিক করুন।
সবকিছু ঠিক থাকলে খুব সহজেই আপনার আইডি কার্ডের সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। এখান থেকে
লাল রঙে লেখা আপনার আইডি নম্বর সংগ্রহ করুন। এই নাম্বার টি পরে কাজে লাগবে।
এরপর নিন্মে দেয়া নোটিশটি ভালোভাবে পড়ে নিন।
কারা অনলাইন সেবার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন !!
আপনি ভোটার নিব্ধন করে থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করে এই ওয়েবসাইটের সুবিধা নিতে পারবেন। রেজিষ্ট্রেশন করতে নিন্মের ধাপসমূহ অনুসরণ করুণ-
১. প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী পূরণ করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
২. আপনার কার্ডের তথ্য ও মোবাইলে প্রাপ্ত এক্টিভেশন কোডটি সহকারে লগ ইন করুন।
৩. তথ্য পরিবর্তনের ফর্মে তথ্য হাল নাগাদ করে সেটির প্রিন্ট করে নিন।
৪. তথ্য পরিবর্তনের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় দলিলাদি কালার স্ক্যান কপি অনলাইনে জমা দিন।
রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম
এরপর
এই লিংকে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করতে করুন। এক্ষেত্রে ১ম ঘরে আপনার আইডি নম্বর, ২য় ঘরে আপনার জন্মদিন সিলেক্ট করুন। ৩য় ঘরে উপরের থাকা লেখাগুলো দেখে দেখে লিখে দিন। অর্থাৎ ক্যাপচা ইন্ট্রি সম্পন্ন করুন।
ক্যাপচা এন্ট্রি করার সময় বড় হাতের ও ছোটহাতের অক্ষর ঠিকভাবে তুলতে হবে। যাহোক, এরপর সাবমিট লেখা বাঁটন টিতে ক্লিক করুন।
রেজিষ্ট্রেশন করার ১ম ধাপ
আশা করছি ১ম ধাপ ঠিক মত সম্পন্ন করতে পেরেছেন। এরপর আরেকটি পেজ পাবেন। নিচের ছবির মতো তথ্যগুলো পূরণ করতে হবে।
- আপনার বিভাগ (Division) সিলেক্ট করতে হবে।
- এরপর আপনার জেলা (District) সিলেক্ট করতে হবে।
- পরবর্তীতে আপনার উপজেলা (Upozilla) সিলেক্ট করতে হবে।
- পরবর্তী লেখায় ক্লিক করতে হবে।
- ২য় ধাপের কাজও শেষ হবার পর। এবার মোবাইল নম্বর দিয়ে OTP সংগ্রহ করতে হবে। আইডি কার্ডের তথ্যে দেওয়া আপনার ফোন নম্বরের অংশ বিশেষ শো করবে। এক্ষেত্রে চাইলে আপনি মোবাইল নম্বর পরিবর্তনও করতে পারবেন।
- তবে আপনি যদি মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করেন তাহলে OTP পেতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। নম্বর পরিবর্তন করতে হলে মোবাইল পরিবর্তন লেখায় ক্লিক করতে হবে।
৩য় ধাপ শেষ। ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা OTP পাওয়ার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হতে পারে। এই সময় অবশ্যই পেজটি থেকে বের না হয়ে অপেক্ষা করুন। কিছুক্ষণের মধ্যে আপনি ঐ মোবাইল নম্বরে ম্যাসেজের মাধ্যমে ৬ ডিজিটের একটি OTP নম্বর পেয়ে যাবেন। খালি বক্সে নম্বরটি লিখে
বহাল লেখা বাঁটনে ক্লিক করুন।
৪র্থ ধাপও শেষ হলো। এরপর আরেকটি পেজ পাবেন সেখানে চাইলে আপনি পাসওয়ার্ড সেট করতে পারবেন। অথবা এড়িয়ে যান লেখায় ক্লিক করে শুধুমাত্র OTP দিয়েই লগিন করুন। আমরা
এড়িয়ে যান লেখায় ক্লিক করলাম।
রেজিষ্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এবার জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করার পালা। তো চলুন দেরি না করে শুড়ু করি।
রেজিষ্ট্রেশনের পর স্মার্ট আইডি কার্ড ডাউনলোড
এই পেজে আপনি এনআইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করার অপশন পাবেন। সেখান থেকে ডাউনলোড লেখায় ক্লিক করে আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিন।
আপনি একটি পিডিএফ (pdf) ফাইলে স্মার্ট কার্ডটি পাবেন। এটিকে প্রিন্ট করে আইডি কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। আইডি কার্ডটি দেখতে ঠিক নিচের ছবির মত হবে।
আশা করি, আপনার এনাইডি ঠিক মত ডাউনলোড করতে পেরেছেন। সমস্যা হলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিন ।
বিঃদ্রঃ
রেজিষ্ট্রেশন করার সময় সঠিক ঠিকানা দিন। তা না হলে একাউন্ট লক হয়ে যেতে পারে।
অনলাইনের আইডি কপি দিয়ে যা যা করা যাবে
এনআইডি(NID card) বা
ভোটার আইডি কার্ড চেক ও ডাউনলোড করা শেষ। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে
এই অনলাইন আইডি কার্ড দিয়ে
ব্যাংক একাউন্ট খোলা যাবে?
উত্তরঃ হা যাবে
২.মোবাইল নাম্বার/ সিমকার্ড রেজিষ্ট্রেশন করাসহ সব ধরনের কাজই কারতে পারবো?
উত্তরঃ জি করতে পারবেন।
সাধারণত এনআইডি কার্ড দিয়ে যা যা করা যায় এই অনলাইন আইডি কার্ড দিয়েও সেগুলো করা সবই করতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করার এই নিয়মটির কথাও কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করুন।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন
আইডি কার্ডে প্রায় সময় বিভিন্ন তথ্য ভুল আসে। এটা অনেক সময় তাড়াহুড়ায় অথবা কর্মীদের কাজের চাপে হয়ে যায়। সবকিছুই ভুল বশত হয়। কিন্তু এটার জন্য আমাদেরকে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়।
আরো পড়ুনঃ
কিন্তু আমরা চাইলেই কিন্তু খুব সহজেই জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে পারি। যে ভুলগুলো আছে, সেগুলো ঠিক করে নিতে পারি খুব সহজে। কিন্তু কিভাবে করবো?
নিচে থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফরমটি ডাউনলোড করে নিন । এই ফাইলটি মুলত একটি পিডিএফ (pdf) ফাইল।
One thought on “অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক ও ডাউনলোড করার নিয়ম (NID card Check 2022)”