সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? এবং কেন করবেন? কিভাবে সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিস টার্গেটেড ‍ট্রাফিক জেনারেট করতে পারবেন।
সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং আসলে কি? সহজভাবে বলতে গেলে আমরা প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর মাধ্যমে সোসাল কমোনিকেশন এর জন্য যে সাইট গুলো ব্যবহার করে থাকি সেগুলেো হল সোসাল মিডিয়া, আর আমরা যদি এগুলোর মাধ্যমে কোনে প্রোডাক্ট প্রমোট করি তা্হলে সেটি হল সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং।যেমন, টুইটার, পিন্টারেস্ট, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব,ফেইসবুক,রেডিট,টামবলার,লিংকডিন ইত্যাদি। এরকম আরো অনেক আছে। আমি যেগুলো মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আমাদের কাজে আসবে শুধু সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব। যারা এফিলিয়েট এবং সিপিএ নিয়ে কাজ করছেন তারা ভাল করেই জানেন সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং গুরুত্ব কতট। আর যারা নতুন শুরু করবেন ভাবছেন তাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অনেক সময় মনে হয় আমাদের তো ওয়েবসাইট নাই আমি কি অনলাইন মার্কেটিং করতে পারবো ? আমি বলবো হ্যা! আপনি অবশ্যই পারবেন। ভালভাবে কাজ করতে পারলে আপনি ওয়েবসাইট ছাড়া সোসাল সাইটগুলো দিয়ে আরো সফলভাবে মার্কেটিং করতে পারবেন। কারণ বর্তমানে ব্লগ কিংবা ওয়েব সাইট থেকেও মানুষ সোসাল সার্ভিস গুলো বেশি ব্যবহার করছে। এমন কি ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বাড়ানোর জন্য সোসাল সার্ভিস গুলোকেই বেছে নিচ্ছেন। তো চলুন শুরু করা যাক…………………………………. ১। ইউটিউব মার্কেটিং: অনলাইন মার্কেটিং করার অনেক উপায় আছে। তার মধ্যে ইউটিউব মার্কেটিং বর্তমানে সবথেকে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর এত জনপ্রিয়তার অনেকগুলো কারন আছে।   প্রথমত, ইউটিউব মার্কেটিং করলে খুব দ্রুত ট্রাফিক(ভিজিটর) পাওয়া যায়। যেটা একটা ওয়েবসাইটের জন্য অনেক সময়ের ব্যাপার। আবার একটা সাইটের জন্য আপনি প্রথমেই হোস্টিং আর ডোমেইন এর জন্য টাকা খরচ করতে হবে যেটা নতুনদের জন্য অনিহার কারন। ইউটিউব এ আপনাকে কোন টাকা খরচ করতে হবে না। আর সবচেয়ে বড় যেই কারনে ইউটিউব মার্কেটিং ইদানিং বেশি জনপ্রিয় তা হচ্ছে এসইও রেঙ্কিং এর বিভিন্ন আপডেটের কারনে যারা রিভিও সাইট দিয়ে মার্কেটিং করে থাকেন তাদের রেঙ্কিং প্রতিনিয়ত ড্রপ করছে কিন্তু ইউটিউব এই প্রভাব থেকে মুক্ত। আবার, যারা এমন কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করার জন্য সিদ্ধান্ত নেন যেটার ডিজাইন বা ব্যাবহারবিধি নিয়ে তারা চিন্তিত তখন তারা সেই পণ্যটি দেখতে কেমন বা এটি কিভাবে ব্যবহার করবে তা জানার জন্য ইউটিউবে প্রবেশ করে আর তাই উন্নত বিশ্বে ইউটিউবে ঢু মারা মানুষের বড় অংশ এর পরেই কিছু না কিছু ক্রয় করে থাকেন। যার কারনে ইউটিউব হচ্ছে ক্রেতাদের ঘাটি। চলুন দেখা যাক কিভাবে একটি ইউটিউব একাউন্ট খূলবেন। খুবই সোজা একটি কাজ শুধু এই লিংক এ যান আর করতে থাকুন। এখানে ‍স্ক্রিনশট সহ দেওয়া আছে। ২। টুইটার মার্কেটিংঃ টুইটার ও একটি জনপ্রীয় সোসাল মিডিয়া সাইট। টুইটারের মাধ্যমে রিয়েল ও টার্গেটেড ট্রাফিক জেনারেট করা যায়। যা মার্কেটিং এর জন্য খুবই গরুত্বপূণ। রিয়েল ও টার্গেটেড ট্রাফিকের জন্য অনেক Research করতে হয়। তা নিয়ে চিন্তার কিছু নাই গুগল মামা আছেনা ! সারচ দিলে আপনি অসংখ্য টুলস পেয়ে যাবেন  যা দিয়ে আপনি পেইড ওয়ে এবং ওয়ে তে কাজ করতে পারেন। আমি একটি ফ্রি টুলস এর লিংক দিচ্ছি  আপনারা এটি ফলো করে দেখতে পারেন।   Twitter follower tools – twimod আপনি একটু মাথা খাটালেই সফলভাবে টুইটার দিয়ে মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। চলুন দেখা যাক কিভাবে একটি টুইটার একাউন্ট খুলবেন। এই লিংকে যান। পিন্টারেস্ট  মার্কের্টিং: সাত কোটিরও বেশি সংখ্যক যাদের মধ্যে বেশিরভাগ ব্লগার, কোম্পানী, ব্র্যান্ড এবং ব্যাবসা সমূহ নিয়ে পিন্টারেস্ট বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক বড় একটা প্রভাব নিয়ে আছে।  আপনার অডিয়েন্সকে পাবার জন্য পিন্টারেস্ট একটা অসাধারণ জায়গা যেখানে ভিজিটরেরা বিভিন্নভাবে আসে।  ফটো শেয়ারিং সাইট হলেও, বিজনেস এর দিক দিয়ে পিন্টারেস্ট এর মত সুবিধাজনক জায়গা অন্যান্য সোসাল মিডিয়াতে পেতে অনেক কষ্ট করতে হয়।   পিন্টারেস্ট মার্কেটিং নিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে অনেক অনেক কৌশল এবং টিপস খুজে পাওয়া যায়।  আমরা আজকে আলোচনা করবো বিভিন্ন প্রকার পিন্টারেস্ট মার্কেটিং টিপস নিয়ে যা বাফার পিন্টারেস্ট মার্কেটিং টিম দ্বারা পরীক্ষিত এবং এখান থেকে আপনি জানতে পারবেন কোন পদ্ধতিটা বেশি কার্যকরী। পিন্টারেস্ট এ ভালো করার জন্য যে আটটি টিপস আপনাকে ফলো করতেই হবে তা হলো, ১।  প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ বার পিন করতে হবে। ২।  পিন শিডিউল তৈরি করতে হবে। ৩।  আপনার ওয়েব সাইটে রিচ পিন অ্যাড করার জন্য এপ্লাই করুন। ৪।  “Pin it for later” বাটন এ্যাড করুন। ৫।  আপনার ইমেজটি সঠিক ভাবে রিসাইজ করুন। ৬।  ইমেজ তৈরির সময় এবং পিন করার সময় টেক্সট ব্যাবহার করুন। ৭।  কিওয়ার্ড সংশ্লিষ্ট ডেসক্রিপশন দিতে হবে এবং বোর্ড তৈরি করতে হবে। ৮।  ডেসক্রিপশন এ আপনার প্রয়োজনীয় লিঙ্ক ইউজ করুন। পিন করার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বিষয় বিবেচনা করে করা উচিত যেমনঃ
  • সময়ের আগে পুর্বপরিকল্পনা করে কোন কাজ করতে পারলে সেটা আমাদের কাজকে বহুগুণে সহজ করে দেয়।  আমরা সবসময় শ্রেণীবদ্ধ ভাবে বিভিন্ন ভালো ভালো কন্টেন্ট গুলা পিন্টারেস্ট এ শেয়ার করতে পারি, এবং এটাকে একটা শিডিউল এর মধ্যে আনতে পারলে কিছু দিনের মধ্যেই একটা ভালো ফলাফল আশা করা যায়।
  • আপনি যে পিন গুলা করছেন সেগুলা সাজিয়ে রাখা কিন্তু আপনার অডিয়েন্স এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  এজন্য একই ধরনের কন্টেন্ট এর ক্ষেত্রে কন্টেন্ট গুলা সারিবদ্ধভাবে এবং সময়ের সাথে ঠিক রেখে পোস্ট করতে হবে এতে কন্টেন্ট বার্স্ট এড়ানো যাবে।
  • পিন্টারেস্ট একাউন্ট খুলতে  এই লিংকটি ফলো করুন
  • ৪।রেডিট মার্কেটিংঃ রেডিট হল এমন একটি সোসাল সাইট যেটা অন্যগুলা থেকে একটু ভিন্ন । সবছেয়ে মজার বিষয় হল রেডিট থেকে হিউজ পরিমনান ট্রাফিক আপনি আপনার সাইটে কনভাট করতে পারেন। তাও আবার অল্প সময়ের মধ্যে। কি অবাব হচ্ছেন তাহলে একবার ঘুরে আসুন তাহলে কিছুটা বুঝতে পারবেন। রেডিট   কি বুঝলেন মাথা ‍নষ্ট করারমত অবস্থা। হ্যা আপনার সাইট ও হতে পারে ট্রাফিক ব্লাস্ট তবে তার জন্য সঠিক প্লান এবং প্রচুর রিসার্চ এর দরকার। রেডিট এর প্রধান বিষয় গুলো হল, ১। সাবরেডিট ২। পোষ্ট কার্মা ৩। কমেন্ট কার্মা    সাবরেডিটঃ সাবরেডিট হল এক একটা বিভাগ বা ক্যাটাগরি। যা থেকে আপনি নিদিষ্ট সাবরেডিট সিলেক্ট করে কাজ করতে পারেন। আমি কিছু সাবরেডিট সাজেস্ট করছি আপনাদের সুবিধার জন্য। আপনারা এগুলা থেকে যেকোন একটি দিয়ে শুরু করতে পারেন।1./r/AskReddit, 2./r/funny, 3./r/mildlyinteresting,4./r/todayilearned    পোষ্ট কার্মাঃ পোষ্ট কারমা হল আপনি যখন কোন একটা পোস্ট করবেন যেমন টা আপনি ফেইসবুকে করেন আর যার বিনিময়ে আপনি লাইক কমেন্ট এবং ডিসলাইক পেয়ে থাকেন। আর রেডিটে আছে আপভোট আর ডাউনভোট আপনি যতগুনো আপভোট পাবেন তার উপর হিসেব করে আপনাকে কতগুলো পোষ্ট কারমা দেওয়া হবে এবং যা দিয়ে আপনি পরবতীতে পোষ্ট করতে পারবেন। পোষ্ট কারমা ছাড়া আপনি পোষ্ট করতে পারবেন না।আবার ডাউনভোট পেলে আপভোট থেকে কাটা যাবে। তবে একটা জিনিষ মাথায় রাখবেন রেডিটে পোষ্ট করার কিন্তু কিছু নিয়ম আছে। আপনি যে সাবরেডিট সিলেক্ট করবেন সেই সম্পকীত পোষ্ট কিন্তু করতে হবে। না হয় বেন খাওয়ার সম্ভাবনা  আছে। কমেন্ট কার্মাধরুন আপনি কোন পোষ্ট কমেন্ট করলেন, এখন আপনি ওই কমেন্টে যতগুলা আপভোট পাবেন তার উপর হিসেব করে আপনার প্রোপাইলে কমেন্ট কার্মা যোগ হবে। আবার ডাউনভোট পেলে মাইনাস হবে। কমেন্ট করার ক্ষেত্রে ও পোষ্ট যে বিষয়ের উপর আছে সেই বিষয়ে সুন্দর একটা কমেন্ট করার চেষ্টা করবেন। এই নিয়ম গুলো ফলো করলে আপনি সফল হতে পারবেন। তবে প্রথম দিকেই কোন সোসাল সাইট এই লিংক প্রমোট করবেন না। আগে ভাল করে পরিচিত হবেন। তারপর শুরু করবেন। এবার কিভাবে রেডিট একাউন্ট খুলবেন, এই লিংকে যান
  • ৫। ফেইসবুক মার্কেটিংঃ আপনারা ভাবতে পারেন ফেইসবুক একটি জনপ্রীয় সোসাল সাইট আমি কেন এটাকে সবার শেষে রাখলাম। এটার ও একটা বড় কারন আছে। কারণ ফেইসবুক থেকে টার্গেটেড ট্রাফিক পাওয়া খুবই কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। আমাদের দরকার রিয়েল ট্রাফিক, আর ট্রাফিক ছাড়া মার্কেটিং এ সফল হওয়া সম্ভব না। বর্তমানে ফেইসবুক স্কামিং বেশি হওয়ার কারণে বাহিরের দশ গুলা কিন্তু ফেইসবুকে খুব একটা ব্যবহার করে না। তো এই বিষয়গুলা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। তাই বলে যে ফেইসবুক নিয়ে যে মার্কেটিং করবেননা তা কিন্তু নয় । সবগুলো দিয়েই চেষ্ঠা করতে হবে। বর্তমানে বিভিন্ন ট্রেকার টুলস আছে যা দিয়ে আপনি সহজেই বুজতে পারবেন,আপনি কোন সাইট এ বেশি ভিজিটর পাচ্ছেন। সেটার উপর বিবেচনা করে যেটাতে ভিজিটর বেশি পাবেন ওই সাইটে অবশ্যই বেশি সময় দিবেন।  আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান ভান্ডারে যা ছিল তা শেয়ার করার চেষ্ঠা করেছি। আশা করি আপনাদের কিছুটা হলেও কাজে লাগবে। ইনশা-অাল্লাহ পরবর্তীতে ভিডিও টিউটোরায়াল দেওয়ার ইচ্ছা আছে। এবং ভিডিওতে মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে তা আশা করি আপনাদের জন্য অনেক হেল্পফুল হবে। ধন্যবাদ সবাইকে……..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *