আসসালামু আলাইকুম
আমি রেজাউল করিম রিজন
সবাইকে স্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি আমার আর্টিকেল
আমরা কি বাংলাদেশে থাকি?
আমরা কি অনলাইনে আয় রোজগারের সঠিক উপায় খুঁজছি?
তাহলে এই নিবন্ধটি পড়লে একটু হলেও আপনাদের কাজে আসবে। কারণ, অনলাইনে যে কিভাবে ঘরে বসে অনেকভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়, তা এই নিবন্ধ পড়লে জানতে পারবেন। আমি বলে রাখতে চাই যে, অনলাইনে আয় করা বাস্তব জীবনে আয় করার মতোই কঠিন। এখানে এমন কিছু রাস্তা আছে যেগুলোতে কাজ শুরু করা সহজ। কিন্তু এগুলো থেকে বেশি টাকা আয় করা যায় না। এর তুলনায় অন্যান্য উপার্জনের পন্থায় ভালো আয়ও হয় আবার তা ধারাবাহিকভাবেও বজায় থাকে। বাংলাদেশ থেকে অনলাইন আয় রোজগারের উপায়গুলো নিম্নে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।
১। নিবন্ধন লিখে আয় রোজগার:
এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো পাঠকদের লেখায় আপডেট হতে থাকে। কোন কোন সাইটে তারা লেখকদের সাথে মুনাফা ভাগ করে নেয়। আপনি এখানে বিভিন্ন নিবন্ধ লিখতে পারেন আর আপনার আর্টিকেল বা নিবন্ধ যতো বেশি পাঠক পড়বে, ততো বেশি টাকা পাবেন। “শুভং” নামক একটা ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের লেখকদের সাথে শতকরা ১০ ভাগ গুগল এডসেন্স-এর লভ্যাংশও ভাগ করে নেয়।
২। ছবি তোলার মাধ্যমে টাকা উপার্জন:
যদি আপনি একজন ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক হয়ে থাকেন, তবে আপনার তোলা আকর্ষণীয় ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। অনলাইনের ডিজাইনাররা তাদের প্রজেক্টের জন্যে অনেক ছবি খুঁজে থাকেন, তাদের নিকট ছবিগুলো বিক্রি করতে পারেন। এই ছবিগুলো আই-স্টক-ফটোস্ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রিও করতে পারবেন।
৩। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় রোজগার:
গুগল এডসেন্সে আয় করার জন্যে আপনার একটা সচল ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ প্রয়োজন। আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন এমন বিলবোর্ড বা পোস্টার যেখানে তারা(জনৈক অসাধু ব্যবসায়ীরা) দাবি করে যে, এখানে ১০ থেকে ২০ ডলার দৈনিক আয় করতে পারবেন- এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা! গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয় তখন যখন, কেউ গুগলের সেসব এডে ক্লিক করে। কিন্তু, এখানে ইনকাম করার পূর্বে আপনাকে একটা তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে। কিন্তু, সেসব নকল এডসেন্স শেখার জায়গায় এই শেখানো হয় যে, কিভাবে চুরির লেখা দিয়ে একটা নকল ওয়েবসাইট বানাতে হয়, এটাতো আসল নয় কারণ এটা একটা ধোঁকাবাজি।
৪। এফিলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে আয়:
এটি একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে কোন পণ্যের প্রচার করবেন আর যখন পণ্য বিক্রি হবে, তখন এর থেকে কমিশন পাবেন। এখানে অনেক আধুনিক আর ভালো পণ্য আছে যেগুলো বিক্রি করা যায় আর মানুষ কিনতেও আগ্রহী; আপনি একজন এফাইলিয়েট হয়েও কাজ করতে পারেন। আপনি “ক্লিক ব্যাংক”-এর মাধ্যমে একজন এফাইলিয়েট হয়ে পণ্য বিক্রয় করতে পারেন।
৫। ফেসবুক হতে টাকা আয়:
সবুক কি তা আর নতুনভাবে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার কোন দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। ফেসবুক হল আজকের দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। তাই অনেকেই জানতে চান ফেসবুক থেকেও কিভাবে টাকা আয় করা যায়। আমি বলল হ্যা ফেসবুক থেকেও টাকা আয় করা যায়। কারন আমরা জানি যে সারা পৃথীবির ৮০ কোটির বেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। তাই মার্কেটিং জাতিয় কাজের বড় ধরনের সুযোগ এখানে রয়েছে। তবে আপনার বন্ধু বা ফ্যান অনেক বেশি এই কারনে ফেসবুক আপনাকে টাকা দিবে না, কিন্তু এই পরিমান বন্ধু বা ফ্যান কে নির্ভর করেই আপনাকে আয় করতে হবে। মোট কথা একে প্রচারের কাজে ব্যবহার করা লগবে।
৬। ফ্রি-লেন্সিং বা অস্থায়ী কর্মী হিসেবে অর্থ উপার্জন:
ঘরে বসে ফ্রি-লেন্সিং করে আয় রোজগারের একটা চমৎকার সুযোগ। আপনি যদি ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা এডমিনিস্ট্রেশন বা তদারকির কাজে দক্ষতা থাকেন তাহলে, অনলাইনে এসব কাজ করে আয় রোজগার করতে পারেন। আপনি চাইলে ফ্রিলেন্সিংভিত্তিক একটা ক্যারিয়ারই গড়ে তুলতে পারেন।
৭। টুইটার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়:
বিজ্ঞাপনদাতাগণ বর্তমানে তাদের ক্যাম্পেইন বা বিজ্ঞাপন উদ্যোগগুলো “টুইটার” বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন। এজন্যে, আপানাদের কোন ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থাকারও প্রয়োজন নেই। এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে, যারা টুইটার বিজ্ঞাপনের কাজ করে থাকে যেমন- মেগ-এ-পাই।
৮। ব্যানার জাতীয় বিজ্ঞাপন হতে আয়:
ব্যানার এডস থেকে আয় হল অনলাইনে আয়ের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনার ওয়েবসইটে ব্যানারের স্থানে কোন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন থাকার মানেই ব্যানার এডস। আপনার যদি একটা ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে আর তার পেজের অবস্থান ভাল মানের হয় এবং তাতে যদি প্রতিদিন ভাল মানের ভিজিটর আগমন হয় তবে বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার ব্লগে তাদের বিজ্ঞাপন দিতে দ্বিধাবোধ করবে না। এক্ষেত্রে সাইটের পেজের মান হতে ভিজিটরের পরিমান বেশি গুরুত্বপুর্ন ।তবে ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা যতো বেশি হবে পাঠকের সংখ্যা বাড়বে ততো বেশি আর আপনার আয়ও বাড়তে থাকবে।
যেমন: INDEPENDENT-IT
আমরা তো অনেক টাকা আর্ন করলাম কিন্তু এই টাকা কোথা থেকে পাবো?
১। চেকে টাকা পাওয়া এটা একটা ব্যাংকের চেক যেটি আপনি যেকোন ব্যাংক থেকেই উত্তোলন করতে পারবেন। এডসেন্স ও অন্যন্য সাইট এরকম চেকে টাকা পাঠিয়ে থাকে। এটা বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সবচেয়ে সাধারণ ও জনপ্রিয় মাধ্যম।
২। পেপ্যাল টাকা পাওয়ার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম, যেটি আপনাকে অনলাইনে টাকা পেতে সাহায্য করবে। অবশ্য, এখনও পেপ্যাল বাংলাদেশে আসেনি কিন্তু শীঘ্রই আসবে।
৩। পেওনিয়ার প্রিপেইড ডেবিট মাস্টারকার্ডএটা বাংলাদেশে অনলাইনের টাকা পাওয়ার জন্যে নতুন একটা রাস্তা। আপনি ওডেস্ক থেকে মাস্টারকার্ড পেয়ে সেই কার্ড থেকে টাকা উঠাতে পারেন।
৪। মানিবুকারস্ থেকে টাকা প্রাপ্তিমানিবুকারস অনেকটা পেপ্যালের মতোই। আর এটা একটি ব্যাংক একাউন্টের মতই। বাংলাদেশে এটা প্রচলিত আছে।
৫। এলার্টপে এর মাধ্যমে টাকা পাওয়া। এটিও পেপ্যালের মতোই আর বাংলাদেশে প্রচলিত আছে। আপনি এর টাকা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন থেকে উঠাতে পারেন।
আমি অনলাইনে কত টাকা আয় করতে পারবো? এটা আমার পরিশ্রম, দক্ষতা আর পদ্ধতির উপর নির্ভর করবে। এখান হতে সত্যিই অনেক টাকা আর্ন করা যায়, যদি আপনি ধৈর্য ধরেন আর কঠোর পরিশ্রম করেন। কখনো চুরি, ধোঁকাবাজি করবে না আর কাজের প্রতি সৎ থাকার চেষ্টা করবেন।
ধন্যবাদ জানাই ইন্ডিপেনডেন্ট আইটিকে আর মোহাম্মদ মেহেদি হাসান ভাইয়া কে আমার ভুল গুলো সংশোধন এবং ব্লগে আমার আর্টিকেল প্রকাশিত করার জন্য।