আসসালামুয়ালাইকুম, সবাই কেমন আছেন? আশাকরি ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। অনেকদিন পর আজকে একটু সময় পেয়ে লিখতে বসে গেলাম। আশাকরি আজকে আপনাদের ভালোকিছু দিতে পারবো। এখন আপনাদের কাছে আমি কিভাবে অনলাইনে বিজনেস করবেন তার কিচ্চু ধারণা দিব :
টাকা আয় করবার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে।কেউ করে চাকরি,কেউ বিজনেস।ঠিক এমনি ১০ টি আইডিয়া দেব আপনাদের যাতে কোন প্রকার ইনভেস্ট ছাড়াই শুরু টা করতে পারেন । তো চলুন শুরু করা যাক …………..
বর্তমান সময় টা তথ্যপ্রযুক্তির যুগ , আর তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে চাকরির আশায় বসে বসে বেকার জীবনযাপন করার কোন মানেই হয় না।
ভাবছেন করবেনটা কি তাহলে? ব্যবসা করবেন ? পুঁজি লাগবে না? কোথায় পাবেন তাহলে এতো টাকা ?
বর্তমানের এই অনলাইনের যুগে একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার আর ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই পুঁজি ছাড়াই আজ থেকেই আপনি ব্যবসায় নেমে পড়তে পারেন।
+++ এবার দেখে নেওয়া যাক এরকম ১০ টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া।+++
০১. এসইও পরামর্শ :
এসইও মানে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। আপনি কি এই বিষয়ে অভিজ্ঞ? আর যদি অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন, কিন্তু কোথাও কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না।তাহলে আর বসে না থেকে অনলাইনেই শুরু করুন এসইও সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা আপনার পরামর্শ নেওয়ার জন্য বসে আছে।অনেক ধরনের ফ্রিল্যান্স সাইট আছে এমন কাজের জন্য।
এসইও সম্পর্কে পূর্নাঙ্গ ধারনা পেতে এই পোস্ট টি পরতে পারেন – এসইও কি?
০২, বিজনেস ট্রেনিং:
আপনার ব্যবসা সম্পর্কে ভালো ধারনা আছে ,কিন্তু টাকার অভাবে পছন্দের প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে পারছেন না। প্রতিষ্ঠা করতে পারছেননা বলে আপনার এই অভিজ্ঞতা বসে বসে নষ্ট করে দিবেন তার কোন মানে নেই।আপনি খুজলে অনলাইনে এমন অনেককে পাবেন যারা নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাইছে। ব্যবসা সংক্রান্ত আর্টিক্যাল লিখার জন্য লিংকডইনে যান।
সেখানে আপনি অনেক ক্লায়েন্ট পাবেন,
তাদের সদুপদেশ দিয়ে নিজের মেধা এবং অভিজ্ঞতাকে আরো উন্নত করে নিতে পারবেন+তার সাথে টু-পাইস ইনকাম তো থাকছেই।
০৩. স্পেশালাইজড রিটেইলার :
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও অনলাইনে পণ্য কেনাবেচা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে বাহিরের দেশের সব বড় শহরগুলোতেই স্পেশালাইজড শপ বা সুপারশপিংমল আছে , এদের মধ্যে বড়ো ছোট অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা অনলাইনে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের প্রচার এবং বিজনেস শুরু করতে ইচ্ছুক।
এই সব প্রতিষ্ঠানের কোন একটির সঙ্গে চুক্তি করে আপনি তাদের পণ্যসম্ভার দিয়ে একটি অনলাইন শপ চালু করে ফেলতে পারেন। ঘরে বসে হয়ে যান রিটেইলার শপার।যেখান থেকে চাইলে যে কেউ নিজের পছন্দ মতো পন্য অর্ডার করতে পারবে।
০৪. সোশ্যাল মিডিয়া বিষয়ক পরামর্শ :
বর্তমানে প্রযুক্তির এই যুগে সোশ্যাল সাইটগুলো উচ্চ স্থান দখল করে আছে,তার সাথে সাথে এর perfection ও কম নয়। ইমো,ফেসবুক,টুইটার ,হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি মানুষের সকল সমস্যা সমাধান যেন হয়ে উঠছে এই মাধ্যমগুলো।
তবে এতোকিছুর পরেও কি যেন থেকেই যাচ্ছে আর তা হলো নতুন ফিচারের পাশাপাশি বাড়ছে সোশ্যাল সাইট হ্যাক করার মতো ঘটনা।
তবে আপনার যদি কিছু ট্রিকস জানা থকে তাহলে আপনি হয়ে যেতে পারেন সোশ্যাল মিডিয়া কনসাল্টেন্ট। এই সকল পদ্বতি অবলম্বন করলে অনেক ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাজ পেতে কষ্ট হবে না।
০৫. ওয়েব ডিজাইন:
বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন টপ টেন বিজনেস গুলোর একটি। এটা খুব সহজ ও না আবার কঠিনও না । বর্তমানে ছোট বড়ো সব প্রতিষ্ঠানের ই তাদের নিজষ্ব একটা ওয়েবসাইট আছে।আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে বসে থাকা প্রশ্ন ই আসে না। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে নিজের কাজগুলোকে ভালোভাবে তুলে ধরেন। সবকিছু শেষে বাজারদরটা ঠিক ভাবে দিবেন এবং সাশ্রয়ী পারিশ্রমিক ঘোষণা করুন। আপনাকে আর কে পায়?
০৬. আবেদনপত্র/কভার লেটার লেখা :
বিশ্বাস না হলেও সত্যি এমন অনেক শিক্ষিত মানুষ আছে যারা পরিপূর্ন করে একটি চাকরির আবেদনপত্র লিখতে পারে না। একটু ভাবুনতো চাকরিক্ষেত্রে যদি আপনার আবেদনপত্র টা সুন্দর গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে এটাই অন্যদের সঙ্গে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। আপনার যদি এই সকল বিষয়ে ধারনা থাকে তাহলে সোশ্যাল সাইটগুলোয় ক্লায়েন্ট খুজে পেতে কষ্ট হবে না।আর ক্লায়েন্ট যে পাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই।
০৭. প্রফেশনাল ফ্রিল্যন্সার :
ফ্রিল্যান্সিং বলতে আমরা যেটা বুঝি সেটা হলো অবসর সময় যে কাজ করা হয়,কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মানুষের ধারনা যে বদলে যাবে না তা কি করে হয়? আমাদের দেশে প্রচুর বেকার তরুণ-তরুণী ফ্রিল্যান্সিংকে মূল পেশা হিসেবে গ্রহণ করছেন। তাই আপনি চাইলে কিন্তু ফুল টাইম ও কাজ করতে পারেন। তাই আমি বলব আজই যুক্ত হোন ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে।আমাদের দেশে অনেক ট্রেনিং সেন্টার আছে যেখানে বিভিন্ন মেয়াদে বিভিন্ন বিষয়ে পেইড কোর্স করানো হয় । সেক্ষেত্রে আপনাক ভালো দেখে একটা সেন্টার সিলেক্ট করে কোর্সে ভর্তি হতে হবে। তাই আর বসে না থেকে শুরু করে দিন।
০৮.অনলাইন মার্কেটিং :
অনলাইন ইনকাম মানে ইন্টারনেট থেকে বা অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন ব্যবস্থা । আমাজনের মতো বিশ্বের বড়ো বড়ো সাইট গুলোতে যদি পণ্যের রিভিউ লিখতে পারেন তাহলে ওয়ার্ড অব মাউথ-এর মত অনেক কোম্পানী তাদের পন্য অনলাইনে প্রমোট করার জন্য আপনাকে পারিশ্রমিক দিবে।আর দেরি কি জন্য লেগে পরুন আজই। তবে মনে রাখবেন অন্যের পকেট থেকে সৎ ভাবে নিজের পকেটে টাকা আনা খুবই কঠিন ব্যাপার
০৯.অ্যাপ ডেভলপার:
সবার হাতেই এখন একটি স্মার্টফোন দেখা যায়। মানুষ এখন সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে স্মার্টফোনের পেছনে। দরকার নতুন নতুন ক্রিয়েটিভ অ্যাপ। বর্তমান সময়ে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ইন্ড্রাস্ট্রি সবচেয়ে লাভজনক ইন্ড্রাস্ট্রি। জনপ্রিয় একটি অ্যাপ তৈরি করতে পারলে সারা জীবন আর কিছু করতে হবে না অ্যাপলিকেশন ডেভেলপমেন্টের জন্য জানতে হবে কিভাবে অ্যাপ গুলো তৈরি করে।তার আগে কোন প্লাটফরমের জন্য অ্যাপ তৈরি করবে তা ঠিক করতে হবে। যেমন iOS, Android, Windows Phone ইত্যাদি। iOS এর অ্যাপ তৈরি করতে জানা লাগে Object C ,, Android এর জন্য অ্যাপ তৈরি করতে জানা লাগে java
Windows Phone এর জন্য C# আপনি যদি কোডিং সম্পর্কে ভাল জেনে থাকেন তবে লেগে পড়ুন অ্যাপ ডেভলপিংয়ে।
১০. হস্তশিল্প বিক্রেতা :
অটোমেটিক মেশিনের যুগে হস্তশিল্পের কদর মোটেই কম নয়। এজন্য আপনাকে এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে ।তাদের পণ্য আপনি অনলাইনে বিক্রি করবেন। যেমন : পাটজাত হস্তশিল্প , আমাদের দেশের সোনালি আঁশ অর্থাৎ পাটের মান অন্যান্য দেশের চেয়ে উন্নত। পাট থেকে সাধারণত চট তৈরি করা হয়। এই চট বিভিন্ন আকৃতিতে কেটে নিয়ে সেলাই ও নকশা করে নানা ধরণের সৌখিন পণ্য যেমন-ব্যাগ, ম্যাট, কলমদানী, পাপোশ ইত্যাদি তৈরি করা যায়। এগুলোকে গ্রাহকের কাছ থেকে নির্দিষ্ট সার্ভিস চার্জ নিয়ে আপনি কুরিয়ারের মাধ্যমে পণ্য পৌঁছে দিতে পারনে সবার কাছ।
এছাড়াও হাজারো রকম পদ্ধ্যতি রয়েছে যা এখানে শেয়ার করা সম্ভব নয়। আপনারা চাইলে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন।
এগুলা ছাড়াও বর্তমানে ইমেইল মার্কেটিং অনেক জনপ্রিয়।
আজকে এই পর্যন্তই । আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে। লেখার ভেতরে কোনভূল হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন। এবং সামনে কোন বিষয়ে জানতে চান তা কমেন্ট বক্সে লিখতে জানাবেন এবং যেকোন বিষয় জানার জন্য কমেন্ট করবেন।
এসইও সম্পর্কে জানতে আমার ব্লগে ভিজিট করতে পারেন – Nadim Mahmud
ধন্যবাদ।
Write Your Comment