বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন “ম্যাজিক সূত্র” নিয়ে কাজ করে। আমি ফ্রিল্যান্সিং করতেছি প্রায় ৪ বছরের মতো হলো ।ফ্রিল্যান্সিং এ বিভিন্ন দেশের অনেক ক্লায়েন্ট এর কাজ করার সময় আমি কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি ।এগুলা আমার জন্যে অনেক কাজে দিয়েছে পরবর্তীতে । আজকে আমি কিছু তার মধ্যে কিছু ম্যাজিক টিপস নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলা আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এ কাজ পেতে সহায়তা করবে ।
চলুন তাহলে দেখি উপায়গুলো কি ?
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এ কাজ পাবার দশটি সহজ ম্যাজিক সূত্র নিম্নরূপ :
১. প্রজেক্ট এর বিবরণ যত্নসহকারে পড়ুন :
ক্লায়েন্ট যদি মনে করেন আপনি প্রজেক্ট পড়েও বুজতে পারেন নাই,তাহলে আপনি কাজটি পাবেন না। কিছু কিছু ক্লায়েন্ট আপনার কাভারলেটার এ বিশেষ কিছু লেখা চান সেটা সম্মন্ধে আপনাকে সজাগ থাকতে হবে। ক্লায়েন্ট বিড এর মধ্যে কিছু লেখা লিখতে বলে যা না থাকলে কাজ টি আপনাকে দিবেনা। আসল কথা হলো আপনাকে প্রজেক্টের পুরো বর্ণনা পড়ে;বুঝে এরপর সেই অনুযায়ী বিড করতে হবে ।
উপরের প্রজেক্ট টি দেখুন এখানে প্রজেক্ট এর প্রথমেই “Done” লিখতে বলা হয়েছিল। কিন্তু অনেকেই সেটা করেনি । তাই প্রথমেই সেই কাভারলেটার গুলো বাদ পরে যাবে।
২.আপনার বিডটি পরিষ্কার এবং সংক্ষিপ্ত রাখুন:
ক্লায়েন্ট কে শত শতবিড পড়ে বিবেচনা করে দেখতে হয় সতরাং প্রতিটি শব্দ তার পক্ষে পড়া সম্ভব নয় সুতরাং অকারণে দীর্ঘ গরু রচনা লিখবেন না। আপনার কাভারলেটার টি ৪,৫ লাইন এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন ।
৩. আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করুন:
প্রজেক্ট এ বিড করার সময় যতটা সম্ভব সুনির্দিষ্ট করে আপনি তথ্য দিবেন ,কাজটি করতে কত খরচ হবে, এবং কতদিন এর মধ্যে এটা করতে পারবেন । আপনার তথ্য সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে তা না হলে ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ টি দিবে না।
৪. আপনাকে সঠিক সময়ে অনলাইন এ থাকতে হবে:
বেশিরভাগ ক্লায়েন্ট পোস্টিং এর প্রথম 24 ঘন্টার মধ্যে কাজটি কাউকে দিয়ে দেয়। যদি ক্লায়েন্ট আপনাকে মেসেজ দেয় তাহলে ঠিক সময়ে আপনাকে তার উত্তর দিতে হবে এবং এই কারণে এ আপনাকে সব সময় অনলাইন এ থাকতে হবে। অন্যথায় কাজটি পাবেন না।
৫. মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করুন
ফ্রীলান্সার আপ টি আপনার মোবাইল এ ইনস্টল করুন। এতে করে ল্যাপটপ ওর ডেস্কটপ এ না থাকলেও ইনস্ট্যান্ট ক্লায়েন্ট কে উত্তর দিতে পারবেন । এছাড়াও, নতুন কাজ খুঁজে বের করতে এবং নতুন প্রজেক্টে দ্রুত বিড করতে আপ আপনাকে সহায়তা করবে।
৬. আপনার পোর্টফোলিও আপলোড করুন
ভালো কাজ এর নমুনা আপনার পোর্টফোলিও উপর আপলোড করুন যা অন্যদের চেয়ে ভালো মানের হয়। কারণ কাজ দেয়ার আগে ক্লায়েন্ট আপনার পোর্টফোলিও দেখতে চাইবে।যার পোর্টফোলিও যত ভালো হবে তার কাজ পাওয়ার সম্ববনা তত বেড়ে যাবে।
৭.আপনার কাজ রক্ষা করুন:
আপনি কোনো ক্লায়েন্ট এর কাজ করলে বা নিজে প্রাকটিস করে কাজ করলেও সেটি আপনার একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট এ অ্যাড করুন বা আপনার ফ্রীল্যানসিং প্রোফাইল এ অ্যাড করুন। নিজের একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট থাকা অনেক জরুরি । একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট এর জন্যে যেকোন দেশি হোস্টিং ব্যবহার করতে পারেন । আমি Softideabd
এর হোস্টিং ব্যবহার করি । আর কেউ যদি ইন্টারন্যাশনাল হোস্টিং ব্যবহার করতে চান তাহলে আমি রেকমেন্ড করবো আপনি এর Bluehost হোস্টিং ব্যবহার করতে পারেন ।
৮. কাজ বুঝে সেই অনুযায়ী মূল্য চান:
আপনাকে সবচেয়ে কমে বিড করে কাজ নিতে হবে এমন কিন্তু নয় আপনার কাজ ভালো হলে ক্লায়েন্ট আপনাকে ভালো বাজেট এ কাজটি দিতে পারে । যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং নতুন হন, আপনাকে প্রথম একটি খ্যাতি প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজন হতে পারে আর এই জন্যে কিছু ছোট ছোট কাজ করে কিছু ভালো ফিডব্যাক আপনার প্রোফাইল অ্যাড করে নিতে পারেন ।
৯. সৎ ও বিশ্বাসী হতে হবে :
একটু আত্মবিশ্বাস ভাল জিনিস, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস টা অনেকে পছন্দ করে না. আপনার দক্ষতা সম্পর্কে সৎ হতে হবে এবং কোনো প্রকার প্রতারণার আশ্রয় নেয়া যাবে না।
১০. কাজ জমা দেয়ার আগে অবশ্যই কয়েকবার ভালো করে আপনার কাজ টি দেখে নিন :
আপনার কাজটি সঠিকভাবে পরীক্ষা করে নিন যাতে বানানজনিত অথবা ক্লায়েন্ট যা চেয়েছেন সেভাবে সুম্পূর্ণ হয়েছে কিনা।
আমি যতটুকু জানি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি । আপনারা যদি মনে করেন আরো কিছু অ্যাড করলে ভালো হবে তাহলে তা আমাকে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানান । যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে তবে লেখাটি সবার ফেইসবুক ওয়াল এ শেয়ার করুন ? ।