এস.ই.ও লিংক বিল্ডিং ২০২১
এস.ই.ও তে ব্যাংকলিংক একটি আতঙ্কের নাম।
কারন, সঠিক ভাবে ব্যাংকলিংক করলে সাইটের গ্রোথ দ্রুত হয়, অপরদিকে ভূল লিংকের কারণে সাইট ট্রাফিকের ড্রপ (পেনাল্টি পায়) হয়।
তাই লিংক ক্রিয়েটের সময় সার্বিক দিক বিবেচনা করে আপনার লিংক বিল্ডিং করতে হবে।
প্রশ্নঃ আমি যেখানে লো-কম্পিটিটি ভ কী-ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করি সেখানে লিংক বিল্ডিং করা কত টুকু যুক্তিযুক্ত?
উত্তরঃ আপনি আপনার সাইটের জন্য লো-কম্পিটিটিভ বা নো-কম্পিটিশন কী-ওয়ার্ডের নিয়ে কাজ করতেছেন যাতে করে আপনি সহজের কন্টেন্ট এবং অন-পেইজ দিয়ে সহজেই র্যাংক করতে পারেন।
সঠিক কীওয়ার্ড চুজ করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কন্টেন্ট দেওয়ার কিছু দিন/মাসের মধ্যেই র্যাংক করে।
কিন্তু এর খারাপ দিক হলো আপনার কম্পিটিটর যদি আপনার থেকে ভালো ভাবে কন্টেন্ট লিখে পাবলিশ করে এবং পাশাপাশি ২/৩ (নির্ভর করে সাইটে অথরিটি এবং লিংক জুসের উপর)ভালো সাইট থেকে লিংক করে সেক্ষত্র আপনি র্যাংক হারাবেন।
এছাড়াও আরো অনেক কাজ রয়েছে লিংকের। যা আমি আস্তে আস্তে কভার করবো।
এখন চলে আসি আমাদের মূল টপিকে ,
কম্পিটিটিভ ইন্ডাস্ট্রি এবং স্মল বিজনেস এর ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন থেকে দ্রুত অর্গানিক ট্রাফিক ড্রাইভ করার জন্য ব্যাকলিংক এর গুরুত্ব অপরিহার্য।
লিংক বিল্ডিং অরগানিক ট্রাফিক ড্রাইভ করার ক্ষেত্রে ঠিক তখনই কার্যকর হবে যখন একটি ওয়েবসাইটে খুব ভালো হবে রিসার্চ করা ওয়েল স্ট্রাকচারের কন্টেন্ট, ভালো ইউজার এক্সপেরিয়েন্স, টেকনিকাল এবং অন পেজ এসইও সঠিক ভাবে করা হবে।
গুগোল পেঙ্গুইন অ্যালগরিদম আপডেটের আগে পর্যন্ত ওয়েব মাস্টারা তাদের ওয়েবসাইটকে র্যাংক করানোর জন্য তারা ফোরাম ব্যাকলিংক, ব্লগ কমেন্টিং ডিরেক্টরি সাবমিটং এবং বিভিন্ন ধরনের স্মামি ট্যাকটিক ব্যবহার করত। যার ফলে পেঙ্গুইন আপডেটের পর অধিকাংশ ওয়েব সাইট যারা এই ধরনের স্ট্রাস্টেজি ব্যবহার করত তারা গুগুল থেকে পেনাল্টি পায় এবং র্যাংক হারায়।
ফলে এই ধরনের লিংক গুলো ভ্যালু দিন দিন কমতে থাকে। এবং এখন ভ্যালু নেই বললেই চলে।
কিন্তু আজকে যদি আমরা লিংক বিল্ডিং এর দিকে তাকাই তাহলে আমরা দেখতে পাবো গুগলের কাছে সেই সমস্ত লিংক গুলো গুরুত্বপূর্ণ যেগুলো নিস রিলেভেন্ট, কোয়ালিটি ভালো এবং অরথরিটিভ।
আমরা গুগলের অ্যালগরিদম আপডেট পর দেখি যে সমস্ত সাইট গুলো র্যাংক হারিয়ে তার অন্যতম প্রধান কারণ খারাপ লিংক প্রোফাইল। তাই এর হাত থেকে বাচার জন্য ও ওয়েব সাইটকে দ্রুত সময়ে র্যাংক করানো অন্যতম গুরুত্ব পূর্ন দিক হচ্ছে Whilte hat link building strategy follow করা।
হাইপার লিঙ্ক এনাটমি
লিঙ্ক বিল্ডিং এর গুরুত্ব বোঝার জন্য, প্রথমে একটি লিঙ্ক কীভাবে তৈরি করা হয়, সার্চ ইঞ্জিনগুলি কীভাবে লিঙ্কগুলি দেখে এবং লিংক গুলি সার্চ ইঞ্জিনকে কী ব্যাখ্যা করতে পারে তার মূল বিষয়গুলো ১ম জানতে ও বুঝতে হবে।
হাইপারলিংক তৈরী করতে ৪ টি বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
< a herf=”https://example.com”> “Backlink” </a>
১। স্টার্টিং লিংক ট্যাগঃ শুরুর দিকে < a লিখাটিকে স্টার্স্টিং ট্যাগ বলা হচ্ছে।এই ট্যাগ ব্রাউজার এবং সার্চ ইঞ্জিনকে বলে এই খানে লিংক জাতীয় কিছু রয়েছে। এবং সেটা ফলো করার নির্দেশ দেয়।
২। লিংক ডিস্টেনেশন বা url: Herf দ্বারা বুঝানো হয় Hyperlink. এবং এর পরেই কোটেশন মার্ক এর ভিতরে থাকা অংশটি দ্বারা Url কে বুঝানো হয়। এটি সাধারণত সব সময় ওয়েব পেইজ হয়ে থাকে নাহ। মাঝে মাঝে এটা মধ্য ইমেজ বা ডাউলোড করা যায় এমন ফাইল ও থাকতে পারে। এবং আপনি যদি এটার মাঝে # চিহ্ন দেখতে পান তবে URL আপনাকে পেইজের একটি নির্দিষ্ট অংশে নিয়ে যাবে।
৩। Anchor text: Anchor text hyeprlink এর এক মাত্র অংশ যেটা ওয়েব সাইটের ভিজিটর দেখতে পায়। এবং এটা ক্লিকেবল । এই Anchor text এ ক্লিক করার ফলে আমরা এক পেজ থেকে অন্য পেইজে যেতে পারি।
৪। Closing tag: এইটার মাধ্যেমেই সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্রাজজার কে hyper link সমাপ্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ওয়েবের জন্য লিঙ্কের গুরুত্ব
ওয়েব সাইটের অথরিটি এবং ব্যান্ড ভ্যালু তৈরী করতে লিংক বিল্ডিং অপরিহার্য।
এছাড়াও বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে এডিটোরিয়াল লিংকের মাধ্যমে প্রচুর সংখ্যক ট্রাফিক এবং সেলস পাওয়া সম্ভব।
ধরা যাক আপনি যদি নিস রিলেভেন্ট কোনো একটি অথরিটি ওয়েবসাইট থেকে যদি কোন এডিটর লিঙ্ক পেয়ে থাকেন সেই লিংকের মাধ্যমে আপনি যে ভিজিটর গুলো পাবেন সেগুলো খুব সহজেই আপনার ক্লায়েন্ট অথবা আপনার সেলসের রূপান্তর করা যেতে পারে।
EX:
For small businesses,
more links = more search traffic = more customers. //
পাশাপাশি কম্পিটিটিভ ইন্ডাস্ট্রি অথবা স্মল অনলাইন বিজনেস কে খুব কম সময়ের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনে টপ রেজাল্ট শো করাতে লিংক এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
সার্চ ইঞ্জিনের কাছে লিঙ্কের গুরুত্ব
আমরা জানি যে, গুগুল ২০০ টি ও বেশি র্যাংকিং ফ্যাক্টর এর উপর নির্ভর করে একটি ওয়েব সাইটকে তাদের সার্চ ইঞ্জিনে টপ রেজাল্ট হিসেবে প্রদর্শন করে।
এই ২০০ টি র্যাংকিং ফ্যাক্টর এর মধ্যে ব্যাক লিংক টপ ৩ তে রয়েছে।
ব্যাকলিংক সাধারণত সার্চ ইঞ্জিনের কাছে “ভোট” হিসেবে কাউন্ট হয় এবং প্রতিটি “ভোট” সার্চ ইঞ্জিনকে বলে দেয় “এই কন্টেন্ট টি গুরুত্বপূর্ণ, বিশ্বাস যোগ্য এবং দরকারি।”
সুতরাং আপনার কাছে যত বেশি এই ভোট রয়েছে, তত বেশি সংখ্যাক কন্টেন্ট দ্রুত গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করবে।
এসইও লিঙ্ক বিল্ডিং
এসইও লিংক বিল্ডিং হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনের র্যাংকিং বৃদ্ধি করা সম্ভব। এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন লিংক এর ভ্যালু যাচাই করে বুঝতে পারে যে একটি পেইজ কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইটে ভালো সংখ্যক লিংক থাকা ইঙ্গিত দেয় যে ওয়েবসাইটে থাকা কনটেন্ট টি ইউজারদের কাছে কতটুকু গুরুত্ব পূর্ন্য।
লিঙ্ক ইকুইটী
লিংক ইকুইটি সাধারণত লিংক জুস নামে পরিচিত।
আর ধারনার করা হয় যে এই লিঙ্ক ইকুইটির মাধ্যমে সহজে একটি পেজের অথরিটি অন্য একটি পেজে স্থানান্তরিত হয়।
লিংক ইকুইটি মান সাধারণত নির্ভর করে অথরিটি, টপিকাল রিলেভেন্ট আছে কিনা এইচটিটিপিএস স্ট্যাটাস, লিংকের ধরন, লিংকটি ক্রলের জন্য উপযুক্ত কিনা এবং ইত্যাদির উপর।
লিঙ্ক জুস কিভাবে কাজ করে?
ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল লিংকের মধ্যে সাধারণত ডু ফলো লিংক এর মাধ্যমে লিংক জুস বা অথরিটি পাস হয়ে থাকে। আর যে পেইজে যত বেশি ডু ফলো লিংক থাকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে সেই পেজের অথরিটি ততো বেশি।
লিংক জুসের ভ্যালু বোঝার জন্য গুগল সাধারণত একটি নির্দিষ্ট পেইজের ব্যাংক লিংক গুলো কে বিশ্লেষণ করে, নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড ক্যোয়ারী জন্য তাদের সার্চ পেজে ওয়েবপৃষ্ঠাটি র্যাঙ্কিং এর জন্য উপযুক্ত কিনা তা নির্ধারণ করে।
উদাহরন সরুপ বলা যায়, যদি এ পেইজ থেকে বি পেইজে একটি ডুফলো লিঙ্ক করা হয় তবে এ পেইজ থেকে বি পেইজে লিংক জুস স্থানান্তরিত হবে এবং বি পেইজ গুগলের কাছে প্রাইয়োটি।
একইভাবে বি পেজে যদি আরো এক্সটার্নাল এবং ইন্টার্নাল লিংক করা হয় তবে এই পেইজে আরো বেশি লিংক জুস বা লিংক অথরিটি পাস হবে। যার ফলে বি পেইজ এর কীওয়ার্ড গুলো গুগল সার্চ রেজাল্টে আরো বেশি র্যাংক করবে।
ব্যাকলিংকের প্রকার
সাধারনত তিন টাইপের লিংক হয়ে থাকে।
  1. হোয়াইট হ্যাট লিঙ্ক বিল্ডিং - ওয়েব সাইট ওনার নিজে থেকে এই লিংক গুলো অন্য অথরিটি ওয়েব সাইটকে দিয়ে থাকে। এগুলো নিস রিলেভেন্ট এবং অথরিটিভ হয়ে থাকে। গুগলের পাশাপাশি অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন রেকমেন্ড করে থাকে।
  2. গ্রে হ্যাট লিঙ্ক বিল্ডিং - টাকা দিয়ে লিংক নেওয়া, নেটিভ এভারটাইসিং, টাকা দিয়ে প্রেডাক্ট রিভিও করানো, ফেইক সাইটেশন ইত্যাদি কে সাধারণত গ্রে হ্যাট লিংক লিংক বিল্ডিং বলে হয়ে থাকে। যদিও ১ম দিকে সার্চ ইঞ্জিন ধরতে না পারলেও কিন্তু যখন সার্চ ইঞ্জিন বুজতে পারে এগুলো হোয়াইট হ্যাট লিংক না তখন ঐ সাইটকে প্যালান্টি দেওয়া হয়।
  3. ব্লাক হ্যাট লিঙ্ক বিল্ডিং - ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের চোখ ফাকি দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ র্যাংক করাতে ব্লাক হ্যাট লিংক বিল্ডিং ব্যবহার করা হয়। এগুলো সাধারণত, PBN, spammy forum or blog commenting, tiered link building, directory submitting ইত্যাদি। যা সার্চ ইঞ্জিন কখনো রেকমেন্ড করে নাহ।
লিঙ্ক বিল্ডিং স্ট্রাটেজি সমূহ
এস ই ও তে সবচাইতে কম্পিটিটিভ বিষয় হচ্ছে লিংক বিল্ডিং। লিংক তৈরী করতে সাধারণত ওয়েবমাস্টার বিভিন্ন ধরনের ট্যাকটিক ব্যবহার করে থাকে। তার মধ্যে আজকে আমরা উল্লেখযোগ্য ট্যাকটিক গুলো নিয়ে আলোচনা করবঃ
১। গেস্ট পোস্ট
একই নিসে অথরিটি ওয়েবসাইট গুলোকে খুঁজে বের করে, তাদের আউট রিচ করে তাদের ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট পাবলিশ করা অনুমতি নেওয়া এবং সেই কন্টেন্ট থেকে নিজে ওয়েব সাইটে একটি লিংক নেওয়াকেই গেস্ট পোস্ট বলা হয়।
২। লিংক রিকোয়েস্ট আউটরিচ
অন্য সাইটগুলোতে আপনার কনটেণ্টের সাথে সম্পর্কিত কোন লেখা যখন খুজে নিয়ে তাদের আপনার কনটেণ্টকে লিঙ্ক করতে অনুরোধ করাকে লিংক রিকুয়েস্ট আউটরিচ বলে।
৩। স্কাইস্ক্রেপার লিংক বিল্ডিং
যে কনটেন্ট গুলো বেশ ভালো লিঙ্ক পেয়েছে সেই কনটেণ্ট গুলো থেকে বেশ কয়েকগুন (১০এক্স) উন্নত করে তৈরি করে একই ধরনের কনটেন্ট যারা লিঙ্ক করেছে তাদেরকে আউটরিচ করা।
৪। কম্পিটিশন লিংক বিল্ডিং
কম্পিটিটর এর লিংক গুলোকে রিসার্চ এবং কোয়ালিফাই সেখান থেকে লিংক বিল্ডিং অপরচুনিটি খুজে বের করা। এবং সাথে ফিউচার লিংক বিল্ডিং এর জন্য স্কোপ খুজে করা।
৫। রিসোর্স পেইজ লিংক বিল্ডিং
অনেক ব্লগার রিসোর্স পেইজ তৈরি করে সেখানে টুলস ও আর্টিকেল লিঙ্ক করে থাকে। ঐ ব্লগ এডমিনকে আপনার কোম্পানি বা কোন কনটেন্টকে সেই সব পেইজ থেকে লিঙ্ক করার জন্য আউটরিচ করতে হবে।
৬। ব্রোকেন লিংক বিল্ডিং আউটরিচ
কোন সাইটের কোন পেইজে যদি ৪০৪ এরর থাকে এবং সেই কনটেণ্টে লিঙ্ক থাকলে সেই পেইজের ঐ লিঙ্কের স্থলে আপনার সাইট বা কনটেণ্ট (যদি ব্রোকেন পেইজের কনটেন্টের মত হয় তা না হলে তৈরী করে নিয়ে) কে লিঙ্ক এর জন্য আউট রিচ করাকে ব্রোকেন লিঙ্ক বিল্ডিং আউটরিচ বলে।
৭। লিঙ্ক রাউন্ডআপ আউটরিচ
অনেক সাইট সপ্তাহের বা মাসের সেরা লিঙ্ক গুলো নিয়ে তাদের সাইটে লেখা প্রকাশ করে। এই ধরনের লেখা তৈরি হয় ভালো কনটেন্ট গুলো সম্পর্কে লিখে আর তাতে লিঙ্ক করে।
এর জন্য কোন লেখা লিখতে হয় না। শুধু গুগল এডভান্স সার্চ কোয়েরী ব্যবহার করে তাদের খুজে বের করতে হবে। তারপর আপনার লেখাকে যুক্ত করতে অনুরোধ করে আউটরিচ করা।
৮। রিলেটেড ব্লগ আউটরিচ
সাধারনত রিলেটেড ইন্ড্রাস্ট্রিতে আপনার প্রোডাক্ট বা কন্টেন্ট ব্লাগার দের দিয়ে কে পারসোনালাইড ইমেল সেন্ড করার মধ্য দিয়ে তাদের কে আউরিচ করা এবং তাদের বিশাল অডিয়েন্স এর সামনে আপনার ওয়েবসাইট বা প্রোডাক্ট নিয়ে কথা বলা । পাশাপাশি তাদের ওয়েব সাইট থেকে আপনার ওয়েব সাইটে একটি লিংক নেওয়া।
৯। আন লিঙ্কড মেনশন
আপনার ওয়েব সাইট বা প্রোডাক্ট কে অন্য ওয়েব সাইটের ওনার মেনশন করেছে, কিন্তু লিংক করেনি, এমন ওয়েব সাইট গুলোকে খুজে বের করে তাদেরকে লিংক এর জন্য রিকুয়েস্ট করা।
১০। ইগোবেইট
এই লিংক বিল্ডিং এর জন্য কন্টেন্ট গুলো নির্দিষ্ট কিছু গ্রুপ বা মানুষের জন্য করা হয়।
এগুলো সাধারনত রাউন্ড আপ, ইন্টারভিউ, এওয়াড টাইপের হয়ে থাকে। রিলেটেড নিসে অনেক ওয়েব সাইট ওনার যে কোনো নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে এক্সপার্ট দের মতামত নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করা। আর সেখান থেকে রেফারেন্স হিসেবে একটি লিংক করা হয় ঐ এক্সাপার্টদের ওয়েব সাইটে দেওয়া।
এই রকম কন্টেন্ট কে খুজে বের করে নিজের মত প্রকাশের জন্য আউটরিচ করা।
১১। লিংক ম্যাগনেট
সাধারনত হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরী করে, গুগলের সার্চ রেজাল্ট এর টপে র্যাংক করার পর ব্লগারদের থেকে অটোমেটিক লিংক পাওয়া।
১২। ইন্টারভিউ লিংক বিল্ডিং
ইনভাইটেশনের মাধ্যেমে অন্য ওয়েব সাইট ওনার এর সাথে নির্দিষ্ট একটি টপিকে কথা বলা এবং সেই কন্টেন্ট থেকে নিজের ওয়েব সাইটে লিংক নেওয়া।
১৩। এক্সপার্ট রাউন্ড আপ
এক্সপার্ট রাউন্ড আপ কন্টেন্ট গুলো ব্লগার দের সপ্তাহ, মাস বা বছরের জনপ্রিয় কন্টেন্ট গুলো দিয়ে এতৈরি করা হয়ে থাকে। এই জাতীয় কন্টেন্ট গুলোকে খুজে বের করে তাদের কাছে আপনার ওয়েব সাইটের টপ পেইজ দিয়ে লিংকের জন্য আউটরিচ করা।
১৪। ইনফোগ্রাফিক লিংক বিল্ডিং
ইনফোগ্রাফিক হচ্ছে বিশাল আকারে ইমেজ যেটাতে বিভিন্ন ধরনের ডেটা বা অন্যান্য ইনফমেশন দেওয়া থাকে। নিজের ওয়েব সাইটে যদি এমন কোনো টপিকে যদি ইনফোগ্রাফিক থাকে যেটা খুব পপুলার বা পরিচিত তাহলে এই ইনফোগ্রাফিক বিষয়ক কন্টেন্ট গুলোকে খুজে বের করে, তাদের ওয়েব সাইটের ঐ পেইজে ইনফোগ্রাফিক পাবলিশ করার মাধ্যেমে রেফারেন্স হিসেবে নিজের ওয়েব সাইটে লিংক নেওয়া।
১৫। ডিরেক্টরি সাবমিশন
ওয়েব ডিরেক্টরির নির্দিষ্ট ক্যাটারিতে লিংক এর জন্য আপনার ওয়েব সাইটকে সাবমিট করা। ডিরেক্টরি লিংক বিল্ডিং এর জন্য কোনো কন্টেন্ট এর প্রয়োজন হয় না।শুরু ডিরেক্টরি সাইটে গিয়ে একাউন্ট তৈরি করে আপনার ওয়েব সাইট সাবমিট করতে হবে। এগুলোকে গুগল স্পামি লিংক হিসেবে বিবেচনা করে।
১৬। পি আর লিংক বিল্ডিং
লিংকেবল এসেট তৈরী করে ডিজিটাল পি আর দের আউট রিচ করা যাতে তারা এই কন্টেন্ট সম্পর্কে লিখে তাদের ব্লগ বা জার্নালে প্রকাশ করে।
১৭। হারো আউটরিচ
হারো মানে হচ্ছে Help a reporter. এগুলো সাধারনত নিস রিলেটেড ব্লগার বা জর্নাল দের গুরুত্বপূর্ন তথ্য দিয়ে সাহায্য করা এবং তাদের কন্টেন্ট থেকে নিজের কন্টেন্ট এ লিংক নেওয়া।
১৮। লোকাল সাইটেশন
লোকাল সাইটেশন দ্বারা মূলত লোকাল বিজনেস গুলোকে একত্রে করা হয় যা অনলাইন ইউজার দের ঐ নির্দিষ্ট এরিয়াতে লিস্টকৃত সব ধরনের বিজনেস ডিটেইল যেমন মোবাইল নাম্বার, ইমেল, লোকেশন, অপেনিং আউইয়ার সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে।
এই ধরনের অয়েব সাইট গুলো কে খুজে বের করে নিজের বিজনেজ ডিটেইল সেখানে সাবমিট করা।
১৯। টেস্টিমোনিয়াল লিংক বিল্ডিং
কোন পণ্য বা সার্ভিস ব্যবহার করার পরে ওই পণ্য বা সার্ভিস এর ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে নিজের মতামত শেয়ার করে সেখান থেকে একটি লিঙ্ক নিয়ে আসাকেই সাধারণত টেস্টিমোনিয়াল লিঙ্গ বলা হয়।
২০। ব্লগ কমেন্টিং
ব্লগ পোস্টের কমেন্ট সেকশনে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রকাশের মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক নেওয়াকেই ব্লগ কমেন্টিং বলা হয়
২১। ফোরাম লিংক
ফোরামে নির্দিষ্ট টপিকে ঊত্তর দিয়ে সেখান থেকে নিজের ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক করা বা ফোরামে একাউন্ট ক্রিয়েট করার পরে সেখানে নিজের ওয়েব সাইট সাবমিট করে লিংক নেওয়াকে ফোরাম ব্যাকলিংক বলে।
গুগল পানিশমেন্ট বা পেনাল্টি
গুগোল সবচাইতে বেশি পেনাল্টি দিয়ে থাকে স্পন্সর বা পেইড লিংকের জন্য, মানে হচ্ছে যে লিঙ্কের জন্য সাধারণত টাকা প্রদান করা হয়, অপরদিকে গেস্ট পোস্ট, প্রেস রিলিজ ইত্যাদির জন্য গুগলের কঠোর নিয়ম রয়েছে।
আর ব্যাকলিংকের পেনাল্টির জন্য সাইট প্রচুর সংখ্যক ট্রাফিক হারায় এবং মাঝে মাঝে গুগল সাইটের সমস্ত ইউ আর এল ডি ইন্ডেক্স করে দেয়।
এসইও মেট্রিক
গুগোল সাধারণত চায় যে প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের ওনার তাদের ভিজিটরকে সর্বোচ্চ রিসোর্স দেওয়ার জন্য অন্যান্য অথরিটি রিলেটিভ ওয়েবসাইটকে লিংক করুক।
আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের লিঙ্ক করার সময় আমরা এস ই ও কিছু গুরুত্বপূর্ন লিংক ম্যাট্রিক্স এর দিকে লক্ষ লক্ষ রাখবো যেগুলো আমাদের কে গুগল অ্যালগরিদম আপডেটের পর সেভ করতে সাহায্য করবে।
১। লিংক প্রোফাইলঃ লিংক নেওয়ার পূর্বে, আমরা যে ওয়েব সাইট থেকে লিংক নিবো সে ওয়েব সাইটের লিংক প্রোফাইল এনালাইসিস করে দেখতে হবে তাদের লিংক প্রোফাইল ক্যামন এবং তারা কোনো ধরনের লিংক ক্রিয়েট করছে। গুগুল এলগোরিদমের ব্যাড নেইভারহুডের একটি প্রভাব রয়েছে। গুগল মনে করে আমি যে ওয়েব সাইট থেকে লিংক নিচ্ছি তার আশে পাশের সাইটের কোয়ালিটি যেমন আপনার সাইটের কোয়ালিটও তেমন হবে।
২। নাম্বার ওফ আউট গোয়িং লিংকঃ আমরা যে পেইজ থেকে বা ওয়েবসাইট থেকে লিংক নিবো, সেই লিংক নেওয়ার পূর্বে আমাদের দেখতে হবে ওয়েব সাইটে কি সংখ্যক আউটগোয়িং রয়েছে।
তারা আসলে কোন ধরনের ওয়েব পেইজে লিংক করছে সেটা আগে আমাদের যাচাই করতে হবে।
লিঙ্কের কোয়ালিটি নির্ণয় করার মেট্রিক
১। নো ফলো এবং ডুফলোঃ লিংক করার সময় অবশ্যই আমরা অবশ্যই নো-ফলো এবং ডু ফলো লিংক রেশিও মেইনটেইন করব।
২। ডোমেইন অথরিটিঃ ডোমেইন অথরিটি লিংক বিল্ডিং এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্টর। এই ডোমেইন অথরিটি দ্বারা বোঝা যায় যে লিঙ্কটি কতটুকু অথরিটিভ হবে। কোন ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথরিটি জানতে Ahrefs, moz, semrush, majestics ইত্যাদি এসইও টুল ব্যবহার করা হয়। ডোমেইন অথরিটি সাধারণত 1 থেকে 100 এর মধ্যে হয়ে থাকে।
৩। লিংক রিলেভেন্সিঃ আমরা লিঙ্ক করার পূর্বে অবশ্যই দেখে নেব আমরা যে ওয়েবসাইট থেকে লিংক নিচ্ছি সেই লিংকটি আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে রিলেটেড কিনা বা বা যে কন্টাক্ট থেকে লিংক দিচ্ছি সে কনটেন্টটি আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে রিলেটেড কিনা।
৪। পেইজ অথরিটিঃ পেইজ অথরিটি দ্বারা বোঝানো হয় একটি পেইজ এ কতগুলো লিংক রয়েছে। পেজ অথরিটি ডোমেইন অথরিটির মতই হয়। পেজ অথরিটি ম্যাট্রিক্স 1 থেকে 100 পর্যন্ত হয়ে থাকে।
৫। অ্যাংকর টেক্সটঃ হাইপারলিংক এর ভিজুয়াল অংশকে অ্যাংকর টেক্সট বলা হয়। সাধারণত গুগোল অ্যালগরিদম ব্যাকলিংকের অ্যাংকর টেক্সট দেখেই ঐ কন্টেন্ট এর টপিক সম্পর্কে একটি ধারণা নিয়ে থাকে ।
আমরা ব্যাকলিংক তৈরী করার সময় অ্যাংকর টেক্সট রেশিও মেইনন্টেইন করবো।
এর মানে হচ্ছে আমরা যে কী ওয়ার্ডকে টার্গেট করে কন্টেন্ট লিখবো, যদি সেই কিওয়ার্ড বারবার এঙ্কর টেক্সট হিসেবে ব্যবহার করেই থাকে সেটাকে বলা হবে একজ্যাক্ট ম্যাচ অ্যাংকর টেক্সট বলে। আর বেশি সংখ্যক একজ্যাক্ট ম্যাচ অ্যাংকর টেক্সট ব্যবহার করলেও গুগল পেনাল্টি দিয়ে থাকে।
এই জন্য আমরা একজ্যাক্ট ম্যাচ অ্যাংকর টেক্সট ব্যবহার করার পাশাপাশি আমরা পার্শিয়াল ম্যাচ আমাদের ব্র্যান্ডের নেই ব্যবহার করব।
৬। রুট ডোমেইনঃ সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে নাম্বার অফ লিংক এর থেকে নাম্বার অফ লিংকিং রুট ডোমেইন অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা পূর্বে জেনেছিলাম লিংক সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ভোট হিসেবে কাউন্ট হয়। একটি ওয়েব সাইট থেকে ১০ টি লিংক পেলেও সেখানে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে একটি ভোট হিসেবেই কাউন্ট হবে।
উদাহরণ সরূপ বলা যায়, ১ টি অয়েব সাইট থেকে ১০ টি লিংক নেওয়ার থেকে ৩ টি ওয়েব সাইট থেকে ৩ টি লিংক নেওয়া গুগলের চোখে অধিকতর অথরিটিভ।
৭। লিংক পজিশনঃ লিংক পজিশনিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ফুটার বা সাইড বার থেকে ব্যাকলিংক থেকে পাওয়ার লিংক যদি কনটেন্ট এর মধ্য থেকে পাওয়া হয় সেটা বেশি অথরিটি । অপরদিকে ফুটার বা সাইড বার ব্যাকলিংকে সাধারনট স্পামি লিঙ্ক হিসেবে কাউন্ট করা হয়।
হেলথি লিঙ্ক প্রোফাইল
একটি হেলদি লিংক প্রোফাইল দ্বারা শুধুমাত্র যে ভালো লিংক গুলো কে বোঝানো হয় এটি একটি ভুল ধারণা।
একটি ভালো লিংক প্রোফাইল এ ব্যাকলিংক গুলোকে ডাইভারসিফাই হয়ে থাকে এবং সেগুলোর নিস রিলেভেন্ট, অথরিটি সাইট থেকে করা হয়ে থাকে এবং সেখানে কোনো স্পামি লিংক থাকে নাহ।
এছাড়াও ভালো লিংক প্রোফাইলে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের এংকর টেক্সট ব্যবহার করা হয় Exact ম্যাচ এংকর টেক্সট এর পরিবর্তে।
অপরদিকে অধিক সংখ্যক ব্লগ কমেন্টিং, ফোরাম পোস্টিং, লিংক কেনা, একই এনকর টেক্সট থেকে বারবার লিংক নেয়া ইত্যাদি দ্বারা খারাপ লিংক প্রোফাইল কে বোঝানো হয় । আর এসবের কারণেই গুগোল অ্যালগোরিদমের পেলান্টি পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
লিঙ্ক বিল্ডিং ক্যাম্পেইন
লিংক বিল্ডিং শুরু করার পূর্বে আমাদের গোল সেট করে নিতে হবে আমরা একটি ক্যাম্পেইন থেকে কতগুলো লিংক পাবো ।
আমরা যে কি-ওয়ার্ড এজন্য লিংক বিল্ড আপ করব আমরা ওই কিওয়ার্ডটির কম্পেটিটিভসনেস যাচাই করবো এবং যাচাই করে আমাদের সাইট থেকে লিংকেবল কন্টেন্ট আছে কিনা সেগুলো আইডেন্টিফাই করবো আর যদি না থাকে তাহলে আমাদের লিংক কেবল এসেট তৈরি করে নিয়ে আউট্রিচ শুরু করতে হবে।
লিংক বিল্ডিং ক্যাম্পেইনের শুরু করার জন্য আমাদের কিছু টুলস এর প্রয়োজন হবে। সাথে আমাদের একটি ব্র্যান্ড ইমেইল লাগবে যেটা থেকে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ ইমেল সেন্ড করতে পারব।
প্রতিটা ধাপের আবার বেশ বড় ব্যখ্যা রয়েছে। আর আপনারা যদি ইন্টারেস্টেড হন তবে সেই স্ট্রাস্ট্যাজি গুলো (শুরু থেকে শেষ) আমি ধাপে ধাপে শেয়ার করবো।
তবে একটু সময় লাগবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *