জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড | ভোটার আইডি কার্ড চেক
জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ও চেক করার সঠিক নিয়ম জেনে নিন। ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০২০ সালের নতুন নিয়ম। এখন আপনি চাইলেই ভোটার আইডি কার্ড চেক বা জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন কপি বা NID soft copy সংগ্রহ করে সেটা দিয়ে মূল ভোটার আইডি কার্ডের সমস্ত কাজ করতে পারবেন যেমন সিম রেজিস্ট্রেশন, বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ জাতীয় পরিচয়পত্র আসল না নকল যাচাই করার নিয়ম
তো কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড ও চেক করার নিয়ম বা কিভাবে অনলাইন থেকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের সফট-কপি সংগ্রহ করবেন।
এখন অনলাইনেই মিলবে জাতীয় পরিচয় পত্র । ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি পেতে মনযোগ দিয়ে পড়ুন। শুরুতেই একটা বিষয় আগে ক্লিয়ার করে নিই, তা হল আপনি যখন ভোটার আইডি কার্ড এর জন্য ফরম পূরণ করেছিলেন এবং যখন নিজের ছবিসহ নাম ঠিকানা আপডেট করিয়েছেন তখন আপনাকে ঐ ফরমের নিচের অংশটি কেটে দেয়া হয়েছিল।
আপনি যখন অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড চেক করবেন তখন  ৮ সংখ্যার নম্বরটি লাগবে। বা আপনার যদি অলরেডি জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর থেকে থাকে তাহলেও হবে। এইভাবে কম্পিউটারের পাশাপাশি মোবাইলে ভোটার আইডি চেকও করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি পেতে মনযোগ দিয়ে নিচের অংশ পড়ুন।

অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র চেক করার নিয়ম

আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে আছে কি না তা আগে চেক করে দেখতে হবে ডাউনলোড করার পূর্বে। অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে বা জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করতে প্রথমেই আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর নিচের মত আসবে,
উপরের পেইজের ১ম বক্সে "ফরম নম্বর বা এনআইডি নম্বর" মার্ক করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার নিবন্ধন ফরমের ঐ ৮ সংখ্যার স্লিপ নম্বর বা ভোটার আইডিত নাম্বার দিন। এরপর বাঁকি সব কিছু ঠিকঠাক পূরন করে "ভোটার তথ্য দেখুন" বাটনে ক্লিক করলেই নিচের চিত্রের মত তথ্য দেখতে পাবেন।
এখন উক্ত পেজ থেকে আপনার NID নম্বরটি লিখে নিন অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোডের জন্য। ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি পেতে এখন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করতে নিশ্চয় পেরেছেন?

জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড এর জন্য রেজিস্ট্রেশন

তারপর খেয়াল করুন ঐ পেজে উপরের অংশের মেনুবারে "রেজিস্টার" লেখা আছে। সেখানে ক্লিক করুন। তাহলে নিচের মত পেজ আসবে। এবার সব কিছু ঠিকঠাক পূরণ করুন অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোডের জন্য। তারপর সাবমিট দিয়ে পরবর্তী ফরম পূরণ করে একাউন্ট সম্পন্ন করুন।
রেজিস্টার সফল হয়ে যাবার পর এখন লগিন করার পালা।

অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোডের জন্য লগিন

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোডের জন্য লগিন করতে এখানে ক্লিক করুন। তাহলে নিচের মত পেইজ আসবে, ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি পেতে এখন লগিন করার পালা।
নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব
ওখানে সব তথ্য ঠিকঠাক দিন তারপর লগইন করুন। তাহলেই পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্খিত জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোডের তথ্য। যেটি দেখতে নিচের মত, [এভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান করুন]। যারা বলেন, আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই তারা দেখে নিন।
অনলাইনেই মিলবে জাতীয় পরিচয় পত্র

জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড

এখন যদি আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান তাহলে উপরের তীর চিহ্নিত স্থানে অর্থ্যাৎ "ডাউনলোড লিখাতে" ক্লিক করুন। তাহলেই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের বা ভোটার আইডি কার্ডের সফট কপি ডাউনলোড হয়ে যাবে যার চিত্র নিচে দেওয়া হলো । [জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহ করুন]

অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন

নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব যারা এমন প্রশ্ন করেন তারা নিচের ছবিতে একবার চোখ বুলিয়ে নিন। এছাড়াও আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই যারা এমন প্রশ্নও করেন দেখে নিন।
এখন সেটা প্রিন্ট আউট করার পর লেমিনেটিং করে আপনার সিম রি-রেজিস্ট্রেশন কিংবা ভোটার আইডি কার্ড সংশ্লিষ্ট যে কোন কাজে লাগাতে পারেন। নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব এই প্রশ্নের উত্তর নিশ্চয় পেয়েছেন। [অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন]

স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে চাই 

অনলাইন থেকে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন না বা স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার কোনো উপায় এখনও নেই ভবিষ্যতেও আসবে না কারণ স্মার্টকার্ডে মোবাইলের সিমকার্ডের মত চিপ লাগানো থাকে। তবে আপনি যদি এখনও স্মার্টকার্ড না পেয়ে থাকেন তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন স্মার্টকার্ড কবে পাবেন। স্মার্ট কার্ড কবে পাবেন তা জানতে এই লিংকে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে "কার্ড বিবরণ তথ্য দেখুন" বাটনে চাপ দিন।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সংক্রান্ত (সৌর্স)

১। প্রশ্নঃ ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য কিভাবে সংশোধন করা যায়? উত্তরঃ এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত উপযুক্ত দলিলাদি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। [ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০১৯] ২। প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয়পত্র কার্ডে কোন সংশোধন করা হলে তার কি কোন রেকর্ড রাখা হবে? উত্তরঃ সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে। ৩। প্রশ্নঃ ভুলক্রমে পিতা/স্বামী/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হলে ভোটার আইডি সংশোধনের জন্য কি কি সনদ দাখিল করতে হবে? উত্তরঃ জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে। ৪। প্রশ্নঃ আমি অবিবাহিত। আমার ভোটার আইডি কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে। কিভাবে তা সংশোধন করা যাবে? উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আপনি বিবাহিত নন মর্মে প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে। ৫। প্রশ্নঃ বিয়ের পর স্বামীর নাম সংযোজনের প্রক্রিয়া কি? উত্তরঃ নিকাহনামা ও স্বামীর আইডি কার্ড এর ফটোকপি সংযুক্ত করে NID Registration Wing/ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর আবেদন করতে হবে। ৬। প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এখন ভোটার আইডি থেকে স্বামীর নাম বিভাবে বাদ দিতে হবে? উত্তরঃ বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিল (তালাকনামা) সংযুক্ত করে NID Registration Wing/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। ৭। প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদের পর নতুন বিবাহ করেছি এখন আগের স্বামীর নামের স্থলে বর্তমান স্বামীর নাম কিভাবে সংযুক্ত করতে পারি? উত্তরঃ প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের তালাকনামা ও পরবর্তী বিয়ে কাবিননামাসহ সংশোধন ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। ৮। প্রশ্নঃ আমি আমার পেশা পরিবর্তন করতে চাই কিন্তু কিভাবে করতে পারি? উত্তরঃ এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে প্রামাণিক কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। উলেখ্য, আইডি কার্ডে এ তথ্য মুদ্রণ করা হয় না। ৯। প্রশ্নঃ আমার ভোটার আইডি কার্ড এর ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার? উত্তরঃ এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে। ১০। প্রশ্নঃ নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে? উত্তরঃ এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সদন, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহ্‌নামা, পিতা/স্বামী/মাতার ভোটার আইডি কার্ড এর সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়। ১১। প্রশ্নঃ নিজের ডাক নাম বা অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে? উত্তরঃ এসএসসি/সমমান সনদ, বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/ স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, ম্যাজিট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি,ওয়ারিশ সনদ,ইউনিয়ন/পৌর বা সিটি কর্পোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র। ১২। প্রশ্নঃ পিতা/মাতাকে ‘মৃত’ উল্লেখ করতে চাইলে কি কি সনদ দাখিল করতে হয়? উত্তরঃ পিতা/মাতা/স্বামী মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত সনদ দাখিল করতে হবে। ১৩। প্রশ্নঃ ঠিকানা কিভাবে পরিবর্তন/ সংশোধন করা যায়? উত্তরঃ শুধুমাত্র আবাসস্থল পরিবর্তনের কারনেই ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বর্তমানে যে এলাকায় বসবাস করছেন সেই এলাকার উপজেলা/ থানা নির্বাচন অফিসে ফর্ম ১৩ এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। তবে একই ভোটার এলাকার মধ্যে পরিবর্তন বা ঠিকানার তথ্য বা বানানগত কোন ভুল থাকলে সাধারণ সংশোধনের আবেদন ফরমে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে। ১৪। প্রশ্নঃ আমি বৃদ্ধ ও অত্যন্ত দরিদ্র ফলে বয়স্ক ভাতা বা অন্য কোন ভাতা খুব প্রয়োজন। কিন্তু নির্দিষ্ট বয়স না হওয়ার ফলে কোন সরকারী সুবিধা পাচ্ছি না। লোকে বলে ID Card –এ বয়সটা বাড়ালে ঐ সকল ভাতা পাওয়া যাবে? উত্তরঃ ID Card এ প্রদত্ত বয়স প্রামাণিক দলিল ব্যতিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রামানিক দলিল তদন্ত ও পরীক্ষা করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ১৫। প্রশ্নঃ একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে কিভাবে তা সংশোধন করা যায়? উত্তরঃ সকলের কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে NID Registration Wing/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে। ১৬। প্রশ্নঃ আমি পাশ না করেও অজ্ঞতাবশতঃ শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তদুর্দ্ধ লিখেছিলাম এখন আমার বয়স বা অন্যান্য তথ্যাদি সংশোধনের উপায় কি? উত্তরঃ আপনি ম্যাজিট্রেট আদালতে এস.এস.সি পাশ করেননি, ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে। ১৭। প্রশ্নঃ ID Card এ অন্য ব্যক্তির তথ্য চলে এসেছে। এ ভুল কিভাবে সংশোধন করা যাবে? উত্তরঃ ভুল তথ্যের সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত দলিল উপস্থাপন করে NID Registration Wing/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।এক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই করার পর সঠিক পাওয়া গেলে সংশোধনের প্রক্রিয়া করা হবে। ১৮। প্রশ্নঃ রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভূক্ত বা সংশোধনের জন্য কি করতে হয়? উত্তরঃ রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধন করতে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়কৃত ডায়াগনোসটিক রিপোর্ট দাখিল করতে হয়। ১৯। প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয়পত্র এর বয়স/ জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া কি? উত্তরঃ এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। এসএসসি বা সমমানের সনদ প্রাপ্ত না হয়ে থাকলে সঠিক বয়সের পক্ষে সকল দলিল উপস্থাপনপূর্বক আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনে ডাক্তারী পরীক্ষা সাপেক্ষে সঠিক নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। ২০। প্রশ্নঃ স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে চাই, কিভাবে করতে পারি? উত্তরঃ নতুন স্বাক্ষর এর নমুনাসহ গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। তবে স্বাক্ষর একবারই পরিবর্তন করা যাবে। ২১। প্রশ্নঃ আমার জন্ম তারিখ যথাযথভাবে লেখা হয়নি, আমার কাছে প্রামাণিক কোন দলিল নেই, কিভাবে সংশোধন করা যাবে? উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ২২। প্রশ্নঃ একটি ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়? উত্তরঃ এক তথ্য শুধুমাত্র একবার সংশোধন করা যাবে। তবে যুক্তিযুক্ত না হলে কোন সংশোধন গ্রহণযোগ্য হবে না।

জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে

অনলাইনেই মিলবে জাতীয় পরিচয় পত্র
১। প্রশ্নঃ ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গিয়েছে। কিভাবে নতুন কার্ড পেতে পারি? উত্তরঃ নিকটতম থানায় জিডি করে জিডির মূল কপিসহ সংশ্লিষ্ট উপজেল/থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে অথবা ঢাকায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে। ২। প্রশ্নঃ হারানো ভোটার আইডি কার্ড পেতে বা তথ্য সংশোধনের জন্য কি কোন ফি দিতে হয়? উত্তরঃ এখনো হারানো কার্ড পেতে কোন প্রকার ফি দিতে হয় না। তবে ভবিষ্যতে হারানো আইডি কার্ড পেতে/সংশোধন করতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি ধার্য করা হবে। ৩। প্রশ্নঃ হারানো ও সংশোধন একই সাথে করা যায় কি? উত্তরঃ হারানো ও সংশোধন একই সাথে সম্ভব নয়। আগে হারানো কার্ড তুলতে হবে, পরবর্তীতে সংশোধনের জন্য আবেদন করা যাবে। ৪। প্রশ্নঃ হারিয়ে যাওয়া ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে সংশোধন করব? উত্তরঃ প্রথমে হারানো আইডি কার্ড উত্তোলন করে তারপর সংশোধনের আবেদন করতে হবে। ৫। প্রশ্নঃ প্রাপ্তি স্বীকারপত্র / স্লিপ হারালে করণীয় কি? উত্তরঃ স্লিপ হারালেও থানায় জিডি করে সঠিক ভোটার আইডি নাম্বার দিয়ে হারানো কার্ডের জন্য আবেদন পত্র জমা দিতে হবে। ৬। প্রশ্নঃ প্রাপ্তি স্বীকারপত্র / ID Card হারিয়ে গেছে কিন্তু কোন Document নেই বা NID নম্বর/ ভোটার নম্বর/ স্লিপের নম্বর নেই, সে ক্ষেত্রে কি করণীয়? উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস থেকে Voter Number সংগ্রহ করে NID Registration Wing/ উপজেলা/ থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে। ৭। প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয়পত্রে নেই কিন্তু তথ্য পরিবর্তিত হয়েছে এমন তথ্যাদি পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব? উত্তরঃজাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে এ সংক্রান্ত কাগজপত্রাদি সহ আবেদন করলে যাচাই-বাছাই করে বিবেচনা করা হবে। ৮। প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয় পত্রের মান বর্তমানে তেমন ভালো না এটা কি ভবিষ্যতে উন্নত করার সম্ভাবনা আছে? উত্তরঃ হ্যাঁ। আগামীতে স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদানের জন্য কাযর্ক্রম চলমান আছে যাতে অনেক উন্নত ও আধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ থাকবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য

১। প্রশ্নঃ আমি যথা সময়ে ভোটার হিসেবে Registration করতে পারিনি। এখন কি করা যাবে? উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে যথাযথ কারণ উল্লেখপূর্বক আবেদন করতে পারেন। ২। প্রশ্নঃ আমি বিদেশে অবস্থানের কারণে ভোটার আইডি কার্ড করতে পারিনি, এখন কিভাবে করতে পারবো? উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে বাংলাদেশ পাসপোর্ট-এর অনুলিপিসহ জন্ম সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, এসএসসি (প্রযোজ্যক্ষেত্রে) সনদ, ঠিকানার সমর্থনে ইউটিলিটি বিলের কপি বা বাড়ী ভাড়া বা হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদের কপিসহ আবেদন করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ফর্মসমূহ পূরণ করতে হবে। ৩। প্রশ্নঃ আমি ২০০৭/২০০৮ অথবা ২০০৯/২০১০ সালে ভোটার আইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করেছি কিন্তু সেই সময় আইডি কার্ড গ্রহণ করিনি। এখন কিভাবে আইডি কার্ড পেতে পারি? উত্তরঃ আপনি আপনার ভোটার রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রদত্ত প্রাপ্তি স্বীকার পত্রটি নিয়ে যে স্থানে ভোটার হয়েছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন। যদি সেখানেও না পাওয়া যায় তাহলে প্রাপ্তি রশিদে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের মন্তব্যসহ স্বাক্ষর ও সিল দিয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে যোগাযোগ করা যাবে। ৪। প্রশ্নঃ ভোটার তালিকার নামের সাথে বিভিন্ন খেতাব, পেশা, ধর্মীয় উপাধি, পদবী ইত্যাদি যুক্ত করা যাবে কিনা? উত্তরঃ ভোটার তালিকার ডাটাবেজে শুধুমাত্র নাম সংযুক্ত করা হয়, কোন উপাধি বা অর্জিত পদবী তাতে সংযুক্ত করার অবকাশ নাই। ৫। প্রশ্নঃ কোথা হতে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে? উত্তরঃ যে এলাকায় ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে ID Card সংগ্রহ করা যাবে। ৬। প্রশ্নঃ আমি বিদেশে চলে যাব। আমার ভোটার আইডি কার্ড কি অন্য কেউ উত্তোলন করতে পারবে? উত্তরঃ হ্যাঁ । আপনার ক্ষমতা প্রাপ্ত প্রতিনিধির যথাযথ ক্ষমতাপত্র ও প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Authorization Letter) নিয়ে তা সংগ্রহ করাতে পারবে। ৭। প্রশ্নঃ কার্ডে ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য দিলে কি হবে? উত্তরঃ জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে। ৮। ভোটার আইডি কার্ড নম্বর ১৩ আবার কারো ১৭ কেন? উত্তরঃ ২০০৮ এর পরে যত আইডি কার্ড প্রিন্ট করা হচ্ছে বা পুণঃ তৈরি হচ্ছে সে সকল কার্ডের নম্বর ১৭ ডিজিট হয়ে থাকে। ৯। প্রশ্নঃ বিভিন্ন দলিলে আমার বিভিন্ন বয়স/নাম আছে। কোনটা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে? উত্তরঃ এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষার সনদে উল্লেখিত বয়স ও নাম। ভবিষ্যতে ৫ম/৮ম সমাপনী পরীক্ষার সনদ ও গ্রহণযোগ্য হবে।লেখাপড়া না জানা থাকলে জন্ম সনদ,পাসপোর্ট,ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ও আবেদন করা যাবে। ১০। প্রশ্নঃ আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে কি ডুপ্লিকেট এন্ট্রি সনাক্ত করা সম্ভব? উত্তরঃ হ্যাঁ, সনাক্ত করা সম্ভব। ১১। প্রশ্নঃ এক ব্যক্তির পক্ষে কি একাধিক নামে ও বয়সে একাধিক কার্ড পাওয়া সম্ভব? উত্তরঃ না। একজন একটি মাত্র কার্ড করতে পারবেন। তথ্য গোপন করে একাধিক স্থানে ভোটার হলে কেন্দ্রীয় সার্ভারে আঙুলের ছাপ দ্বারা তা ধরা পড়বে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা হবে। ১২। প্রশ্নঃ নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে কি কি কাগজ পত্রাদি প্রয়োজন? উত্তরঃ জন্ম নিবন্ধন সনদ, এস,এস,সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ (যদি থাকে), ঠিকানা প্রমানের জন্য কোন ইউটিলিটি বিলের কপি, নাগরিক সনদ, বাবা-মা এবং বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর NID কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, TIN নম্বর (যদি থাকে)। ১৩। প্রশ্নঃ আমি খুব দরিদ্র ও বয়স ১৮ বছরের কম। ১৮ বছরের উপরে বয়স দেখিয়ে একটি ID Card পেলে গার্মেন্টেস ফ্যাক্টরিতে বা অন্য কোথাও চাকুরী পেতে পারি। মানবিক কারণে এই পরিস্থিতি বিবেচনা করা যায় কি? উত্তরঃ না। ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।মানবিক বিবেচনার কোন সুযোগ নেই। ১৪। প্রশ্নঃ আমি ভুলে দু’বার ভোটার আইডি কার্ড এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছি এখন কি করবো? উত্তরঃ যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা জানান। বর্তমানে Finger Print Matching কার্যক্রম চলছে। অচিরেই সকল Duplicate Entry সনাক্ত করা হবে। উল্লেখ্য, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ১৫। প্রশ্নঃ ভোটার আইডি কার্ড আছে কিন্তু ২০০৮ এর সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। এরূপ সমস্যা সমাধানের উপায় কি? উত্তরঃ অবিলম্বে NID Registration Wing/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন। ১৬। প্রশ্নঃ একজনের কার্ড অন্যজন সংগ্রহ করতে পারবে কিনা? উত্তরঃ ক্ষমতাপত্র ও প্রাপ্তিস্বীকার রশিদ নিয়ে আসলে সংগ্রহ করা যাবে। ১৭। প্রশ্নঃ আপনারা বিভিন্ন ফরমের কথা বলেছেন? এগুলো কোথায় পাওয়া যাবে? উত্তরঃ NID Registration Wing/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করা যাবে অথবা Website : www.ecs.gov.bd বা www.nidw.gov.bd থেকে ডাউন-লোড করা যাবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চাই

  • ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চাইলে এই লিংকে চাপ দিন। লগিন না করা থাকলে লগিন করে নিন। তারপর এডিট বাটনে চাপ দিয়ে পরবর্তী নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
  • ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের ফি সম্পর্কে জানতে এই লিংকে চাপ দিন।

নতুন ভোটার হতে চাই

  • নতুন ভোটার হতে চাইলে এই লিংকে চাপ দিয়ে পরবর্তী নির্দেশনা অনুসরণ করুন।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট হেল্পলাইন

  • যোগাযোগের ঠিকানাঃ Nirbachan Bhaban (7th - 8th Floor), Agargaon, Dhaka-1207
  • কল সেন্টার নাম্বারঃ 105
  • ফেসবুক পেজঃ ভিজিট করুন
  • ই-মেইলঃ info@nidw.gov.bd
  • হেল্পলাইনঃ +8801708501261 যোগাযোগের সময়ঃ রবি-বৃহস্পতি, সকাল ৯:০০টা - বিকাল ৫:০০টা পর্যন্ত
বিঃদ্রঃ স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার কোনো নিয়ম অনলাইনে নেই। তাই স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড লিখে গুগল সার্চ করবেন না। স্মার্ট কার্ড নেওয়ার জন্য উপরের ঠিকানায় যোগাযোগ করুন। জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম এই পোস্টটি কেমন লাগলো আপনার? নিশ্চয় তথ্যবহুল ছিল?   অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০২০ ও চেক করার নিয়মটি শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিতে পারেন বা কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে নিচের কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করুন। আর এই পোস্টটি পরে খুব সহজেই অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন। আপনি চাইলে মোবাইলে ভোটার আইডি চেক করতে পারবেন । মোবাইলে স্ক্রীন আমাদের ছবির সাথে একটু পরিবর্তন পেতে পারেন । কিন্তু বুঝতে অসুবিধা হবে না । তাই আপনার  মোবাইলে ভোটার আইডি চেক করে নিতে পারেন। এছাড়া মোবাইল অ্যাপ দিয়ে ও ভোটার আইডি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন । জাতীয় পরিচয়পত্র অ্যাপ লিঙ্ক  ধন্যবাদ

আরো জানুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *