জাতীয় পরিচয়পত্র আসল না নকল যাচাই করার নিয়ম
ঘরে বসে সহজেই স্মার্ট কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র আসল না নকল তা যাচাই করার নিয়ম জেনে নিন। বিভিন্ন কাজে কারো পরিচয় ভেরিভাই করার জন্য ভোটার আইডি কার্ড আসল নাকি নকল তা চেক করে যাচাই করার প্রয়োজন হয়। তাহলে জেনে নিন অনলাইনে কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড বা স্মার্ট কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র ভেরিফাই করবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র আসল না নকল তা কেন যাচাই করব?

দেশ ডিজিটাল হওয়ার সাথে সাথে ডিজিটাল প্রতারণা প্রতিনিয়তই বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে নিচের চিত্রের মত সনাতন পদ্ধতির ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র খুব সহজেই ফটোশপের মাধ্যমে নকল করা যায়।
কিন্তু নিচের চিত্রের মত আসল স্মার্ট কার্ড নকল করা খুব সহজ কোনো ব্যাপার না, কারণ সেখানে ইলেকট্রনিক চিপ বসানো থাকে।
তাই বলে দুর্বৃত্তরা তো আর বসে নেই। তারা প্রতিনিয়তই জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড নকল করার চেষ্টা করে যাবে।
ধরুন আপনার একটি ব্যাংক আছে। সেখান থেকে কেউ ঋণ নিতে চাইলে নিশ্চয় তার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড এর তথ্য শুরুতেই নিয়ে নেবেন তাই না? যাতে পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হলে তাকে চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু সেই জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ডটিই যদি হয় নকল তাহলে বুঝতেই পারছেন সেই ঋণের টাকা আর ফেরত পাওয়া যাবে না।
এভাবে নকল জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড এর কারণে অনেক কোম্পানি বা ব্যক্তি প্রতারণার শিকার হচ্ছে। তাই জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড আসল না নকল তা যাচাই করার উপায় আপনার জানা উচিত।

কিভাবে যাচাই করব জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড আসল না নকল?

বর্তমানে আমাদের দেশে ৩ ধরণের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে। এর ২টির একটি হলো স্মার্ট কার্ড ও সনাতন পদ্ধতির জাতীয় পরিচয়পত্র যা আমরা উপরের চিত্রের মাধ্যমে আপনাকে একটু আগে দেখালাম। এর বাহিরে আরেক ধরণের অনলাইন সফট কপি আছে যেটার প্রিন্ট কপি গ্রাহক হয়তো এখনও পায় নি। জাতীয় পরিচয়পত্রের এই অনলাইন কপিও খুব সহজেই নকল করা যায়। জাতীয় পরিচয়পত্রের অননাইন কপি কিভাবে বের করবেন তা নিচের লিংকে চাপ দিয়ে জেনে নিন।
জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড আসল না নকল তা যাচাই করার জন্য প্রথমেই এই লিংকে চাপ দিয়ে ঢুকে পড়ুন নির্বাচন কমিশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে। তাহলে নিচের চিত্রের মত পেজ আসবে।
উপরের 1 আর 2 লেখা দেখে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন দুইটি পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র ভেরিফাই বা যাচাই করা যাবে। যারা এখনও মূল জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড পায় নি তাদের রয়েছে অনলাইন কপি। যদি সেটি যাচাই করতে চান তাহলে ভোটার হবার সময় যে একটি স্লিপ ধরিয়ে দেয় তাতে ৮ সংখ্যার একটি স্লিপ নাম্বার আছে সেটি ১নং চিহ্নিত সাথে টিক দিয়ে নিচের বক্সে বসিয়ে দিন। আর যাদের সরাসরি জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড এর নাম্বার আছে তাদেরটা প্রথম বক্সে বসানোর পূর্বে ২নং স্থানে টিক দিয়ে নিন। যদি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড এর নাম্বার ১৩ সংখ্যার হয় তাহলে প্রথম বক্সে ১৩ সংখ্যার নাম্বার বসানোর পূর্বে চার সংখ্যার জন্মতারিখ বসিয়ে দেবেন। এর পর উপরের চিত্রের নিচের বক্সে জন্ম তারিখ বসিয়ে দিন। তারপর ক্যাপচার ঘরের পাশে যে লিখাগুলি রয়েছে সেগুলি হুবহু ক্যাপচার ঘরে বসিয়ে দিয়ে "ভোটার তথ্য দেখুন" বাটনে চাপ দিন তাহলে নিচের চিত্রের মত পেজ চলে আসবে।
এখন লাল বক্সের মার্ক করা তথ্যগুলি যাচাই করলেই বুঝতে পারবেন যার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড চেক করছেন সেটি আসল নাকি নকল।
কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে বা প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। পোস্টটি উপকারী মনে হলে অবশ্যই নিচের শেয়ার বাটনগুলিতে ক্লিক করে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *